TRENDING:

দীপাবলির মতই চাহিদা বেড়েছে মোমবাতির, প্রধানমন্ত্রী ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্রিও হচ্ছে দেদার!

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: লকডাউন পরিস্থিতিতে ভাইরাল হয়েছে "আমরা কি চা খাব না?" রবিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী রাত ৯টায়  ৯ মিনিটের জন্যে বাড়ির আলো বন্ধ রাখতে বলেছেন। মোমবাতি, ফ্ল্যাশ লাইট বা প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন। তার পরেই ক্রমশ ফোন বাজছে ওয়াক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির। সেখানেই আবদার "আমরা কি, মোমবাতি জ্বালাব না।" রবিবাসরীয় সকালে বরানগরের বাড়িতে ক্রমশ বেজেই চলেছে ফোন। আবদার, দাবি একটাই মোমবাতি চাই।
advertisement

সত্যিই কি এতটা চাহিদা? " হ্যাঁ তা তো বটেই আমরা শুধুমাত্র কলকাতাতেই হাজার বাক্স মোমবাতি পাঠিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন জানাচ্ছে তাদের কারও ৫০০, কারও ২০০ মোমবাতি চাই।" জানাচ্ছেন  ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়াক্স বেসড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দে। সকাল থেকে পোস্তা, বড়বাজার বা শিয়ালদহ বাজারের একাধিক দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকে। শ্যামবাজারের বিভিন্ন দোকানেও সকাল থেকে খোঁজ চলেছে মোমবাতির। কিন্তু রবিবারের সকালে জোগান অবশ্য তেমন নেই বাজারে। সমীরবাবু জানাচ্ছেন, "আমাদের বিভিন্ন গোডাউনে মোমবাতি তৈরি হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু লকডাউনের জেরে তো আমরা তা সব জায়গায় সরবরাহ করতে পারছি না।" দোকানিদের বক্তব্যও তাই। চাহিদা থাকলেও জোগান নেই তাদের কাছে। ফলে অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে।

advertisement

উওর কলকাতার দিকে মোমবাতির বিকল্প হিসেবে লোকে প্রদীপের খোঁজ করছেন। তবে কুমারটুলি বা উল্টোডাঙায় প্রদীপ কেনার সংখ্যা হাতে গোনা। অনেকেই বলছেন লকডাউন চলছে তাই তারা রাস্তায় বেরোতে পারছেন না। ফলে প্রদীপ কেনাও হচ্ছেনা। ফলে চাহিদা থাকলেও জোগান নেই। দক্ষিণ কলকাতা অবশ্য মোমবাতি বা প্রদীপে ঝুঁকে নেই। তারা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটে ঝুঁকে আছেন। দক্ষিণ কলকাতার এক আবাসনের বাসিন্দারা অবশ্য মোবাইল আলোই জ্বালাবেন। ফলে করোনার জেরে এবার লড়াইয়ে মোমবাতি বনাম মোবাইলের আলো৷

advertisement

সমীরবাবু জানাচ্ছেন, অফ সিজনে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ বাক্স মোমবাতি তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায় দীপাবলিতে। সংখ্যাটা প্রায় দশ লক্ষ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে শুক্রবার, শনিবার, রবিবার মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাত থেকে আট লাখ বাক্স। রাজ্যে প্রায় ৯০০ ইউনিট আছে, যারা এই মোমবাতি তৈরি করেন। সমীরবাবু জানাচ্ছেন ১০ টাকা দামের মোমবাতির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে মোমবাতি আলো দিচ্ছে মোম শিল্পকে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
দীপাবলির মতই চাহিদা বেড়েছে মোমবাতির, প্রধানমন্ত্রী ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্রিও হচ্ছে দেদার!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল