সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়, আজ থেকে ১০ বছর আগে এই দুই নামকে ঘিরেই তোলপাড় পড়ে গেছিল গোটা রাজ্যে। সারদা চিটফান্ডের তদন্তে গ্রেফতার হয়েছিলেন সংস্থার মালিক সুদীপ্ত সেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দেবযানী। তার পর থেকে চলছে তদন্ত। কোথায় দাঁড়িয়ে তদন্ত, সে নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। কিন্তু সুদীপ্ত বা দেবযানী কেউই জামিন পাননি। অবশেষে ১০ বছর পরে বন্দিজীবন থেকে সাময়িক মুক্তি পেলেন দেবযানী।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! কী এমন ঘটছে বঙ্গোপসাগরে? বাংলার মৎস্যজীবীদের নির্দেশ, ‘তাড়াতাড়ি ফিরুন’
বর্তমানে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ঠাঁই হয়েছে সারদা সংস্থার তদানীন্তন ডিরেক্টর দেবযানীর। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর মা অত্যন্ত অসুস্থ। অসুস্থ মাকে একবার চোখের দেখা দেখতে প্যারোলে বাড়ি যাওয়ার জন্য আবেদন জানান দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। দেবযানীর আইনজীবী আদালতে জানান, দেবযানীর মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা গিয়েছে। তাই প্যারোলে মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর বীরভূমে বিরাট কাণ্ড তৃণমূলে! ৩০ নেতার যা পরিণতি হল, জেলাজুড়ে তোলপাড়
সেইমতো CBI এর বিশেষ আদালতে এই আবেদন পাঠানো হয়। সেখান থেকেই মেলে অনুমতি। আদালত তরফে তাঁকে প্যারোলে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো জেল কর্তৃপক্ষের তরফেও যাবতীয় আয়োজন করা হয়। দেবযানীকে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে নিয়ে যেতে কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। ৬ ঘণ্টা বাড়িতে কাটিয়ে ফের বাড়ির পথেই রওনা দেবেন দেবযানী।
আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে সারদা চিটফাণ্ড কাণ্ডের জেরে গোটা রাজ্যে ধুন্ধুমার পড়ে যায়। ঘটনা সামনে আসতেই কলকাতা ছেড়েছিলেন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়। শেষমেশ তাদের কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালে সারদা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবযানী। সারদা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। তারপর থেকে জেলবন্দি দেবযানী।