দ্বিতীয় জনের নাম কমলা বসাক। বয়স ৬২। বাড়ি রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার চণ্ডীবেড়িয়া সারদা পল্লী এলাকায়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে এই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে ১০২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এল। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই বছর রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও ডেঙ্গি মৃত্যুর খবর জানায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন - বর্ধমান উৎসবকে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে রাজবাড়ির শহর, টানা উৎসবে চাঁদের হাট
প্রসঙ্গত দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে এই বছর যেভাবে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল, তা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল চিকিৎসক মহলে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে আরও সচেষ্ট হওয়ার আবেদন জানান।
আরও পড়ুন - একশো দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতি, সংসদে সুকান্তর প্রশ্নে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণমূল ও রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত,গত ২০১৩ সাল এবং ২০১৭ সালের পর এই বছর ডেঙ্গি গোটা রাজ্যেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় সত্তর হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও শতাধিক। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির অবনতির জন্য বিজেপি, সিপিএম,কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো প্রত্যেকেই রাজ্য সরকারের উদাসীনতার দিকেই আঙুল তোলে। কলকাতা পুরসভা এলাকায় যেভাবে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব হয়,তাতে কলকাতা পুরসভা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থাকায় একের পর এক বিক্ষোভও সংগঠিত হয়।
অন্যদিকে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা,গা ছাড়া মনোভাবকে দায়ী করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, সাধারণ মানুষের অসচেতনতা যেমন দায়ী, তার সঙ্গে পুরসভা,পঞ্চায়েতগুলোও চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছে,যে কারণে ডেঙ্গির দাপট এবার শীত পড়লেও অব্যাহত।
ABHIJIT CHANDA