রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এ প্রসঙ্গে বলেন, ''পাহাড়ে টিএমসি-র শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। বিনয় ও রোহিত যোগ দেওয়ায় আমাদের আরও শক্তি বাড়ল। তারা এখন থেকে পাহাড়ে তৃণমূলের শক্তি বাড়াবেন। জিটিএ ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। দল কৌশল এখনও ঠিক করেনি।'' শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, ''বিজেপি বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সেটা তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা করেছে। বাইরের ইন্ধন বিভাজন ঘটিয়েছিল। কোনও সাধারণ মানুষ অশান্তি চায় না। শান্তি ফেরানোর কারিগর মমতা বন্দোপাধ্যায়। অচিরেই এই যোগদান পাহাড়ে বিভাজন রুখবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনে দার্জিলিংয়ে ঠাসা ভিড়, হঠাৎ পুলিশি হানায় যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের!
আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রধান 'শত্রু' হিসেবে বিজেপি-কেই নিশানা করেছেন বিনয় তামাং। তাঁর কথায়, ''আমি পাহাড়ে উন্নয়ন করতে চাই। সবাইকে বাঁচাতে আমি এগিয়ে যায়৷ গোর্খাল্যন্ড ললিপপ দেখিয়ে বিজেপি ভোটে ফায়দা তোলে। আমাদের কাজ উন্নয়ন ঘটানো। পাহাড়ে মূল বিরোধী আমাদের বিজেপি৷ বিজেপি-র সহযোগীরা আমাদের প্রধান বিরোধী।'' এখানেই না থেমে বিনয়ের সংযোজন, ''আমি টিএমসি-তে যোগ দিয়ে পাপ করিনি। আমি ১৫ জুলাই জিজিএম ছেড়ে দিই। ১৬৪ দিন কোন দলে যোগ দিইনি৷ আমার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সকলের কথা হয়৷ কলকাতা থেকে যে নির্দেশ আসবে তার ভিত্তিতে কাজ হবে। আমরা পাহাড়ে একত্র থাকব। আমি অনীত ছাপা ও বিমল গুরুংকেও তৃণমূল যোগ দিতে বলব।''
আরও পড়ুন: মামীর সঙ্গে ভাগ্নের পরকীয়া, শুধু সন্দেহের বশেই দুর্গাপুর দেখল এক হাড়হিম ঘটনা!
বস্তুত বিমল গুরুঙ্গয়ের সঙ্গে তৃণমূলের সুসম্পর্ক হওয়ার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিলেন বিনয় তামাং। দুজনকে এক ছাতার তলায় আনতে তৃণমূলের শীর্ষস্তর থেকে চাপ আসছিল বিনয় ও বিমলের উপরে। বিধানসভায় যে ভাবে ভোট ভাগাভাগিতে দার্জিলিং এবং কার্শিয়াং আসন খুইয়েছে মোর্চা, তা পছন্দ হয়নি শাসক দলের। ফলে ভোটের আগে যা শুধু ‘পরামর্শ’ ছিল, সেটা পরে চাপ হিসেবে দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে বিনয় তামাংয়ের কাছে তৃণমূলে যোগদানই সবচেয়ে সুরক্ষিত হত বলেই মনে করছিল পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল। বাস্তবে হলও তাই।