ডিএ সহ একাধিক দাবিতে মহামিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ৷ আদালত এদিন জানান, একটি নির্দিষ্ট রুটেই এই মহামিছিল করতে হবে। হাজরা মোড় থেকে হাজরা রোড হয়ে কালীঘাট দমকল স্টেশন পর্যন্ত যাবে এই মিছিল। সেখান থেকে এগোবে ডানদিকে হরিশ মুখার্জি রোড ক্রশিং-এর দিকে এগোবে। সেই পথেই মিছিল যাবে সাবার্বান স্কুল রোড। এরপর ডানদিকে ডিএন রোড হয়ে হাজরা মোড়ে ফিরবে মিছিল। প্রসঙ্গত, এই রুটেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন।
advertisement
এদিন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতের শর্ত, শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিছিল করতে হবে। কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য বা বক্তব্য রাখা যাবে না৷ দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হবে এই মহামিছিল। মিছিলের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের এমন ১২ জনের নাম আগেই জানাতে হবে পুলিশকে। ৩৫০০ কাছাকাছি মিছিলে জমায়েত হওয়ার কথা।
একই সঙ্গে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ জানান, ‘‘আমাদের দাবি আদায়ের জন্যই এমন মিছিল৷’’ এদিন শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য করেন, ‘‘কলকাতার সব থেকে শান্তিপূর্ণ রাস্তা হচ্ছে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট। কেন পুলিশ মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না।’’ ডিএ র দাবিতে এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের মিছিল হবে এবার শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা হরিশ মুখার্জি রোডে। পুলিশ তিনটে বিকল্প রুট মিছিলের জন্য দিলেও, সূত্রের খবর, তাতে সায় নেই মিছিলকারীদের।
আরও পড়ুন: আপাতত স্বস্তি অমর্ত্য সেনের! জমিজট নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন শুনানি চলাকালীন মন্তব্য করেন, ‘‘প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে ধর্না বিক্ষোভ হয়। হঠাৎ হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি কেন থাকবে।’’
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ‘‘ওটা খুব স্পর্শকাতর এলাকা। ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছড়িয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে।’’ মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘‘আমরা আবেদন করার পরে কিছু এলাকায় ৩ মে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।’’ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ‘‘সবাই যে আশঙ্কা করছে, সেটা কোর্টও অনুভব করছে। কোনও রকম অশান্তি এড়িয়ে মিছিল করতে হবে।’’
