১৯ অগাস্ট তিন মাসের সময়সীমা পেরোনোর ঠিক আগেই রাজ্য বিচারপতি ট্যান্ডনের যৌথ বেঞ্চের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে। অন্য দিকে, ১৯ অগাস্ট পেরোতেই যৌথ বেঞ্চের রায় কার্যকর না হওয়ায় আদালত অবমাননার নোটিস ধরায় মামলাকারী সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন - Weather Alert: আজ রাত পোহালেই আবহাওয়ার ১৮০ ডিগ্রি নাটকীয় বদল, প্রবল হাওয়া-বৃষ্টিতে টালমাটাল হবে জীবন
advertisement
রাজ্যের পুনর্বিবেচনা এবং আদালত অবমাননা দুটি শুনানির জন্য ওঠে আদালতে। রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। এই রায় মেনে নিচ্ছে রাজ্যও। তবে দুটি নির্দিষ্ট বিষয় আদালতের গোচরে এনে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করছে।
আরও পড়ুন - Healthy Lifestyle: গাঁটে গাঁটে ব্যথা, জয়েন্টে ফোলা! ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত নয় তো,সাবধান হন এখনই
রাজ্যের এজি'র যুক্তি, ২০০৯ সালে রোপা রুলের (ক্লারিফিকেটরি মেমো) অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ ছিল ১৬ শতাংশ। তা ইতিমধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। রেপো রুল অনুযায়ী ওই ১৬% ডিএ ন্যায়সঙ্গত , এটা রাজ্য মনে করছে।
১৬ শতাংশের বেশি ডিএ প্রসঙ্গ এনে রাজ্য সরকারের জানিয়েছে এটা বিবেচনা সাপেক্ষ। ২০০৯ সালের দু'টি নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের বাইরে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ভিন্ন এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এই দু'টি বিষয় স্যাটের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের পক্ষে। ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে বুঝতে ভুল করেছে। এজির এই সওয়ালে বিরক্তি বোধ করেন ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি।
বিচারপতি সামন্ত মন্তব্য করেন, স্যাটের নির্দেশে এটাও স্পষ্ট করা আছে। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার কথা। যৌথ বেঞ্চ তার রায়ে এই সমস্ত বিষয়ই নজরে রেখেছে। তারপরেও রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন আদৌও গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
বিচারপতি ট্যান্ডন জানান, সর্বভারতীয় মূল্য সূচক অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যৌথ বেঞ্চ। সেই নির্দেশের মধ্যে সবকিছুই বিবেচিত। রাজ্যের তা নিয়ে আপত্তি থাকলে তারা আরও উচ্চ ফোরামে যেতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি।
উল্লেখ্য, বুধবার পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি এলে বিচারপতি ট্যান্ডন স্পষ্ট করে দেন ডিএ রায় পুনর্বিবেচনা করার মতো জায়গা খুব কম।কনফেডারেশনের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, সর্বভারতীয় মূল্যসচকই ডিএ নির্ণয়ের অন্যতম মাপকাঠি। আমরা এটাই ফের তুলে ধরব।বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি সম্পন্ন হয়নি। শুক্রবার ফের মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে।
ARNAB HAZRA