সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা দুদিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে মিশ্র প্রভাব কলকাতা পুরসভায়। সকাল থেকে কর্মীরা পুরসভায় এলেও কাজে যোগ দিলেন না কর্মচারীদের একটা অংশ। হাজিরা দিয়েও এদিন বিক্ষোভ অবস্থানে শামিল হন বেশ কিছু কর্মী। পুর ভবনের সদর দফতরের বিভিন্ন বিভাগে চোখে পড়ল ফাঁকা চেয়ার। বহু দফতরে কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও কাজ যোগ দিতে দেখা যায়নি তাঁদের অনেককে। তবুও দিনের শেষে, শুধুমাত্র সদর দফতরেই হাজিরার পরিসংখ্যান ছিল ৯২.১০ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
এই পরিসংখ্যান দেখেই পুর কর্তৃপক্ষের ধারণা, উপস্থিত কর্মচারীদের অনেকেই হাজিরার খাতায় সই করে অফিস কামাই করেছেন, অথবা অনেকে হাজিরার খাতায় সই করেও কাজের চেয়ারে বসেননি।
এদিন কলকাতা পুরসভার হাডকো বিল্ডিংয়ে লাগাতার দুদিন ব্যাপী পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করলেন পুরসভার কর্মীদের একাংশ। কর্মবিরতির বিক্ষোভ অবস্থানে বসা ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা পেন ডাউন কর্মসূচি করছি। অর্থাৎ, হাজিরা দিয়েও কর্মবিরতি পালন করছি। এরপরেও যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব আমরা। রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। অচল করে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: অ্যাডিনোভাইরাস থেকে সাবধান! রোগ থেকে বাঁচাতে কী কী খাওয়াবেন বাচ্চাকে? জেনে রাখুন
চলতি অর্থবর্ষে সরকার ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে খুশি নয় রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি কর্মী সংগঠন। বকেয়া ডিএ এর দাবিতে সোম এবং মঙ্গল এই দুদিন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। তবে, রাজ্য সরকারও পিছু হঠতে নারাজ। এই দুদিন কাজে যোগ না দিলে, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। প্রয়োজনে শো-কজ করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
