ইয়াস-এর সতর্কবার্তা থাকা জেলা গুলোতে দলীয় বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী চারটি নির্দেশ দিয়েছেন। ১) জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে হবে। ২) উপকূলবর্তী অঞ্চলে থেকে মানুষকে সরিয়ে এনে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) যতক্ষণ দুর্যোগ না কাটছে ও নিজের বিধানসভা অঞ্চলে সর্বক্ষণ নজর রাখতে হবে। ৪) দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর ঘরবাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে, যাবতীয় প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই জেলায় জেলায় চলছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি।
advertisement
আশঙ্কার বিষয় ইতিমধ্যেই ফ্রেজারগঞ্জ, গঙ্গাসাগর, মুড়িগঙ্গা-সহ সহ বহু জায়গায় সমুদ্র উপচে জল উঠতে শুরু করেছে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে রিলিফ সেন্টারে পৌঁছে দেওয়ার কাজ।
মৌসম ভবন বলছে ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে তার গতিবেগ থাকতে পারে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। তবে ঝড়ের তেজ টের পাওযা যাবে অনেকটা আগেই। বুধবার সকালেই দুই মেদিনীপুরে ১০০-১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগেঝড় বইতে পারে উত্তর চব্বিশ পরগণা, ঝাড়গ্রামেও। ইয়াসের প্রভাবে দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও। বৃহস্পতিবারও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
