তবে একা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নন, সূত্রের খবর ওই পুরসভার আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তার মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই পুরপ্রধান কস্তুরী চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন বলে খবর৷
শিক্ষামন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এই কাউন্সিলরের আচমকা ইস্তফায় এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীদেরও মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ইস্তফা দেওয়ার পর দেবাশিসবাবুও দলের একাংশের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন৷ তাঁর অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলের মধ্যেই চক্রান্ত করা হচ্ছিল৷
advertisement
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেশ কিছুদিন আগেই দলের জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিককে আমার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি৷ ব্রাত্য বসুকেও পাঠিয়েছি৷ অনেক দিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে, কতদিন সহ্য করব? তাই আজকে এসডিও,চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসলাম৷ আমি ১৯৯৮ সাল থেকে দল করছি৷ ১৯৯৯ সালের দলের প্রার্থী হয়েছিলাম৷ তখন দলের প্রার্থী পাওয়া যেত না৷ আমি যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটিরও সদস্য ছিলাম৷ প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করছি৷ সিপিএম আমলে দলের পতাকা লাগিয়েছি, মার খেয়েও সহ্য করে নিয়েছি৷ কিন্তু এখন আমার দলের লোকেরাই আমার বিরুদ্ধে যা করছে, তা আরও বেশি বেদনায়দায়ক৷ তবে কাউন্সিলর পদে ইস্তফা দিলেও তিনি দলের কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন বলেই দাবি করেছেন দেবাশিসবাবু৷
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দমদম টাউন তৃণমূল সভাপতি এবং ওই পুরসভারই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকান্ত সেনশর্মাও দেবাশিস বাবুর পাশেই দাঁড়িয়েছেন৷ তিনি বলেন, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ সঠিক। আমরাও এই পথেই হাঁটতে চলেছি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার দমদম বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত ১৭টি ওয়ার্ডের বেশ কিছু কাউন্সিলর তাঁদের পদত্যাগপত্র দক্ষিণ দমদম পুরসভার পৌরপ্রধানের কাছে জমা দিয়েছেন।
