কী কী নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ?
১) রাজ্যের ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুল কোন পড়ুয়ার প্রমোশন আটকাতে পারবে না। কোন পড়ুয়ার মার্কশিট আটকানো যাবে না।
২) সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
৩) কোভিডকালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছে, তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে।
advertisement
৪) সব নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত বকেয়া রয়েছে, তা নির্ধারণ করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক।
৫) আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফিস নির্ধারণ করবেন, তা দিতে হবে অভিভাবকদের।
৬) যারা কোভিডকালে কোন ফি দেননি, তাদের নামও নথিবদ্ধ করবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
৭) অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: 'এখন আপনি কোন দলে?' দুয়ারে যেতেই কটাক্ষের মুখে বিধায়ক!
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, "স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে যদি এরকম গণ্ডগোল হয় তাহলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সবসময় নজর রাখা সম্ভব? আপনি যদি খারাপ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ভালো পরিষেবার আশা করেন আর আদালতকে নজর রাখতে বলেন সেটা কীভাবে সম্ভব?''
আরও পড়ুন: মহিলার লিভারে এ কী জিনিস! প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন বীরভূমের চিকিৎসক
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারী পর্বে স্কুল বন্ধ ছিল। অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, স্কুল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য ফি নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ৮০ শতাংশ টিউশন ফি দিতে হবে। এরমধ্য়ে স্কুলের দরজা ফের পড়ুয়াদের জন্য খুলে গিয়েছে। ফলে মামলাটি ফের ওঠে হাইকোর্ট। সেই মামলাতেই আদালত একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে।