আরও পড়ুনঃ হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা, কোন বয়সী মেয়েদের চাহিদা বেশি দেখে পুলিশ থ!
শুক্রবার যখন চিরঞ্জিতের দেহ ঘটনাস্থলে অর্থাৎ বিজয় গড়ের নির্মীয়মান বিল্ডিং এর নিচে পড়েছিল, সেই সময় ওখানেই ঘোরাফেরা করছিল সানি।সে স্বাভাবিকভাবে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু কোনভাবে বুঝতে দেয়নি আগের দিন রাত্রে বেলা চিরঞ্জিত ও সানি দুজন মিলে ওই বিল্ডিং এর তিন তলার উপর মদ্যপান করেছিল। প্রথম দিকে পুলিশের কাছে বিষয়টা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ গুলো দেখেই পুলিশ স্থির করে চিরঞ্জিত ও সানি একটি মোটরসাইকেলে করে ওখানে ঢুকে ছিল।
advertisement
দুপুরের মধ্যেই পুলিশ সানিকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সানি প্রথমটা সুস্পষ্ট ভাবে তেমন কিছু না বললেও, পরে স্বীকার করেছেন দুজন মিলে মদ্যপান করেছিল ওখানে। দুজনের মধ্যে বচসাও হয়েছিল। কিন্তু ঠেলে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারটি সানি বারবার এখনও এড়িয়ে যাচ্ছে। সানির বক্তব্য, সে প্রচুর মদ খেয়েছিল। তার জন্য তার কিছু মনে নেই। তবে আর কেউ ছিলনা বলে দাবি করেছে সানি।
শনিবার আদালতে তোলার পর আদালত ১লা জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।তবে চিরঞ্জিতের মা রোমা দত্তের দাবি,পুরনো গন্ডগোলের জেরেই সানি জোর করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে চিরঞ্জিতকে খুন করেছে। ওকে গ্রেফতারের পর নিজেদের হেফাজতে এনে গল্ফ গ্রীন থানার তদন্তকারী অফিসার ,সমস্ত দিকগুলো খতিয়ে দেখছে।তবে ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।ওই বিল্ডিং থেকে যে দূরত্বে দেহ পড়েছিল, পেছন থেকে ধাক্কা না দিলে অতটা দূরত্বে গিয়ে পড়তে পারে না বলে, দাবি পুলিশ সূত্রে।
