রাজ্য মৎস্য দফতরের তরফের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা ১৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করবেন। প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কত জন করে মৎস্যজীবী রয়েছেন, তার তালিকা তৈরি করবে। তার পর সংশ্লিষ্ট জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কতগুলি করে কেন্দ্র তৈরি করতে হবে তা ঠিক করতে হবে। রাজ্য মৎস্য দফতরের এবং মৎস্য দপ্তরের ডাইরেক্টরেট একটি সহজ ও সরল আবেদন পত্র তৈরি করবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বুঝতে ভুল, দেদার গুলি, নাগাল্যান্ডে ১৩ সাধারণ মানুষের মৃত্যু! মৃত ১ জওয়ানও
সেই আবেদনপত্র প্রত্যেকটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট ফিশারি অফিসারদের পাঠিয়ে দেবে। ডিস্ট্রিক্ট ফিশারি অফিসাররা পর্যাপ্ত সংখ্যক সেই আবেদনপত্র প্রিন্ট করে ক্যাম্প-এর মাধ্যমে বিতরণ করবেন জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়। এই প্রকল্পের আগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মৎস্য দপ্তরের জেলার আধিকারিকরা এর বহুল প্রচার করবে নির্দেশিকা তেমনটাও বলা হয়েছে। যদিও কিভাবে এই প্রকল্পের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা হবে তা যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেস্টিনেশন গোয়া! মমতা অভিষেকের জোড়া সফরে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
নবান্ন সূত্রে খবর প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে এই মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। যদিও আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যেই তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে বলে রাজ্য মৎস্য দপ্তর সূত্রে খবর। রাজ্যে প্রায় ৩২ লক্ষ মৎস্যজীবী রয়েছেন। এর ফলে এতসংখ্যক মৎস্যজীবী এর সুবিধা পেতে পারে বলেই মনে করছে রাজ্য অর্থ দপ্তর। রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই কিষান ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে।এই ধাঁচেই মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড চালুর পরিকল্পনা নবান্নের। মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড এর পাশাপাশি আরও একটি ক্রেডিট কার্ড দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আগামী সপ্তাহে প্রথমদিকেই তাও চূড়ান্ত করে ফেলবে রাজ্য। আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ফের শুরু হচ্ছে তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়