প্রার্থী বাছাই ছাড়াও বুথ কমিটি তৈরি করার ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কোন ফর্মুলায় ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। প্রচারের ক্ষেত্রেই বা কী রণকৌশল নেওয়া হবে তারও ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার জন্য আলোচনা চালানো হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতা জানিয়েছেন, "কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তা এখনও পর্যন্ত ঠিক না হলেও যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু তার জন্য বসে না থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখলে নির্বাচনের সময় কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। বামফ্রন্টের পাশাপাশি অন্যান্য বেশকিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেহেতু এতগুলো দল তাই বেশ কিছু জট থাকাটা স্বাভাবিক। তাই জট ছাড়াতে সময়ও লাগবে। আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে কিছুটা সুবিধা জনক জায়গায় থাকা যাবে। একইসঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার জন্য যে রণকৌশল তৈরি করতে হবে সেখানেও সব রাজনৈতিক দলগুলির সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তাই আগে থেকে এসব করে না রাখলে পরবর্তী সময়ে দেরি হয়ে যেতে পারে। দলের তরফ থেকে নেতৃত্ব ঘোষণা করে দিয়েছে যে কোনো রকম ভাবেই বিজেপিকে বা তৃণমূলকে হারাতে অনৈতিক জোট করা যাবে না। আগে থেকে প্রস্তুত থাকলে সেই বিষয়টাও আটকানো যাবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রবিন্দুতে নরেন্দ্র মোদি, ১৩ হাজার নেতাকে সামনে রাখছে বঙ্গ বিজেপি! বিরাট পরিকল্পনা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও গণ সংগঠনগুলিকে বেশ সক্রিয় অবস্থাতেই রাখতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। নিচুতলা থেকেই এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, মহিলা সমিতি, কৃষক সভার মতন সংগঠনগুলি আঞ্চলিক বা কেন্দ্রীয় ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি করে চলেছে। দলের তরফেও লাগাতার কর্মসূচি চলছে। সেই কর্মসূচিতে রাজ্য নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করে বার্তাও দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কেন মোবাইল পুকুরে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ? কাকে বাঁচাতে? দ্বিতীয় মোবাইল খুলতেই বুঝে গেল সিবিআই
দলের পাশাপাশি বামফ্রন্টের তরফেও কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সাথে শুধুমাত্র আলোচনা নয় পথে নেমে একসঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় সেই বিষয়গুলিও আঞ্চলিক নেতৃত্বকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে দলের যা ফলাফল হয়েছিল তার চাইতে এবার রাজনৈতিকভাবে কিছুটা ভালো স্থানে রয়েছে দল। আলিমুদ্দিনে এমনই রিপোর্ট দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। তার উপরে সাগরদিঘির ফলাফলে অনেকটাই উৎসাহিত সিপিএমের সমর্থক, কর্মী, নেতৃত্ব। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে গা ঝাড়া দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এর ফলে একদিকে সংগঠন অন্যদিকে পরবর্তী নির্বাচনেও তার ফসল তুলতে সিপিএম 'দ্রুত পা চালাও' নীতি নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ ।