এক প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, 'স্বাধীনতা দিবসে একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সম্মান নিয়ে বক্তৃতা করছেন তখন অন্যদিকে গুজরাত সরকারের বদন্যতায় মুক্তি পায় বিলকিস বানো দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তার চোখের সামনে পরিবারকে খুন করার আসামিরা। আদালতের রায় নয়, পঞ্চ মহলের জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে গুজরাট সরকারের এক কমিটি এই মুক্তির সুপারিশ করে। বিলকিস ধর্ষকদের মুক্তি বাতিলের দাবিতে এবং গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি ও আরও অনেকে। সুভাষিনী আলি সারা ভারত মহিলা সমিতির সহ সভপতি হিসেবে এই মামলা করেন। তাঁর সঙ্গে আবেদন করেছেন সাংবাদিক ও লেখক রেবতি লাউল এবং সমাজকর্মী রূপরেখা বর্মা।''
advertisement
আরও পড়ুন: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত ২০০২ সালে গুজরাত গণহত্যার সময়ে দাহোদের এক গ্রামে আক্রান্ত হয় বিলকিস বানোর পরিবার। ৩ মার্চ আক্রমণের সময় গাছ দিয়ে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন বিলকিস, সঙ্গে ছিলেন বিলকিসের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ২০-৩০ জন আততায়ী তাঁদের ঘিরে ধরে আক্রমণ করে। বানোর পরিবারের ১৪ জনকে খুন করে। বিলকিসের ৩ বছরের শিশুকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মায়ের সামনেই পাথরে আছাড় মেরে হত্যা করে। বিলকিস-সহ ৮ জন মহিলাকে ধর্ষণ করে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা যায়। ২০১৮-এর ২১ জানুয়ারি বিশেষ সিবিআই আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়। মুম্বই হাইকোর্টও একই রায় দেয়।
আরও পড়ুন: "আমাকে নির্ভয়ে, শান্তিতে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দিন" ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখে আর্জি বিলকিস বানোর
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করছে বামফ্রন্ট। এবং অবিলম্বে আসামিদের মুক্তি বাতিল করে কারাদন্ড বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছে।'
এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আগামী দিনে রাজ্যেও রাজনীতি উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।