কীভাবে এই সাফল্য?
দলীয় সূত্রে খবর, ভোটে বারবার খারাপ ফল করায় দলের একটা বড় অংশের সমর্থন বিজেপিতে গিয়েছিল। আরেকটা অংশ নিস্ক্রিয় হয়ে বসে গিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর সেই অংশটা ফেরানোর চেষ্টায় সাফল্য মেলে। সেই সাফল্য দলীয় কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ফের উৎসাহ দেখা যায়। মূল্যবৃদ্ধি, আনিসকাণ্ড-সহ বেশকিছু আন্দোলনেও সারা পাওয়া যায়। যার ফল ইভিএমে মিলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটির ভিড় সামাল দিতে ছুটছে দিঘা স্পেশ্যাল ট্রেন, কখন-কোথা থেকে ছাড়বে জানেন?
দ্বিতীয়ত, ভোটে জেতার লক্ষ্যে চারিদিক ছুটে বেড়ালে আদপে শক্তির অপচয় হবে। তাই অঙ্ক করে সম্ভাবনাময় নির্দিষ্ট পকেটগুলিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এবং 'কমিটেড ভোট' গুলিকে ঘরে তোলার চেষ্টা হয়েছে। দলের তরফে প্রচার চালানো হয়েছে 'একদিনে হবে না, একদিন হবেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, খরগোশ আর কচ্ছপের দৌড়ে যে রণকৌশলে কচ্ছপ সাফল্য পেয়েছিল সেটাই এখন অস্ত্র আলিমুদ্দিনের।'
এ বিষয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'বামপন্থার বিকল্প কিছু নেই। মানুষ ধিরে ধিরে বুঝতে শুরু করেছেন। যার ফল দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের ফলাফলে।" তৃণমূল যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'তৃণমূলের চাইতে বাকি দলগুলে আলোকবর্ষ দূরে। কে দ্বিতীয় হবে কে তৃতীয় হবে টস করে ঠিক করে নিক।'
Ujjal Roy