স্মারকলিপিতে বলা হয়, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত বিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত রন্ধন কর্মীদের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধন কর্মী (মিড ডে মিল) ইউনিয়ন আপনাকে অবগত করছে, গত কুড়ি বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করে আসছেন প্রায় লক্ষ রন্ধন কর্মী। কিন্তু আমরা দেখছি রাজ্যের অন্যান্য শ্রমিক-কর্মচারী প্রকল্প কর্মী এবং বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন নিয়মিত উৎসব অনুদান পেয়ে থাকেন। কেবলমাত্র মিড ডে মিল কর্মীরাই বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও গত সাত বছর ধরে কোন ভাতা বৃদ্ধি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের তরফে হয়নি। ভারতবর্ষের অধিকাংশ রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ভাতা বৃদ্ধি করলেও আমাদের রাজ্যে সে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কর্মীরা নামমাত্র ভাতায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন এছাড়াও নির্দিষ্ট কোনও পরিচয় পত্র না থাকায় প্রায়শই ছাঁটাই ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১০০ নেতার সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত! ২ শাসকের 'পর্দা ফাঁস' করতে চাইছে 'আহিম'
এ ছাড়াও ভাতা বৃদ্ধি, ১২ মাসের ভাতার দাবি ও কর্মীদের পরিচয় পত্র দেওয়ার দাবি জানানো হয় সংগঠনের তরফে। এআইসিসিটিইউ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বাসুদেব বসু জানান, "মিড ডে মিল নিয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সাথে সাক্ষাৎ করা হয়। দাবিগুলো জানানো হয়। তিনি গুরুত্ব সহকারে নেতৃত্বের কথা শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। আমাদের প্রশ্ন, এই রন্ধন কর্মীরা সারা বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাজ করছেন। পরিশ্রম করছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য। অথচ তাঁরাই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। সরকার যখন পুজোতে ক্লাবগুলোকে টাকা দিতে পারে, তাহলে এদের বেলায় চুপ কেন? আমরা দাবি জানিয়েছি এই রন্ধন কর্মীদের উৎসব ভাতা দিতে হবে। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা আশাবাদী। অন্যথায় শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।"
UJJAL ROY