২০২১ এর ফেব্রুয়ারির সেই নবান্ন অভিযানের ঘটনায় নাকি পুলিশি খাতায় ‘ফেরার’ দেখানো হয়েছিল মীনাক্ষীকে৷ অথচ, ঠিক সেই সময়েই তিনি তখন, শহরে গ্রামে চুটিয়ে নির্বাচনী প্রচার সারছেন৷ তাহলে এমন চার্জশিট ফাইল হল কী ভাবে? প্রশ্ন তুলছেন মীনাক্ষীর আইনজীবী৷
advertisement
নিউ মার্কেট থানার পুলিশের খাতায় ফেরার ছিলেন মীনাক্ষী সহ ২৭ বাম ছাত্র-যুব নেতা! বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হন 'পলাতক' এই ২৭ জন। উল্লেখ্য, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ঘটনার ২ মাস পড়ে ভোটে লড়েন নন্দীগ্রামে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীদের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে চষে বেরান নন্দীগ্রাম। অথচ, এহেন মীনাক্ষীকে খুঁজে পায়নি নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ৫০০ টাকার বন্ডে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ প্রত্যেকেই জামিন পান। জামিন দেয় এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি নেয় বাম ছাত্র-যুবরা। বেকারদের কাজের দাবিতে নেওয়া অভিযান কে ঘিরে সেদিন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলা চত্বরে। ডোরিনা ক্রসিং এর কাছে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। ওইদিনের ঘটনায় মৃত্যু হয় বাম যুবনেতা মইদুল মিদ্দা'র। সেদিনের ঘটনাকে ঘিরে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযুক্ত হন ২৭ যুব-ছাত্র নেতা। পুলিশকে মারধর, পুলিশের কাজে বাধা, বেআইনি জমায়েত, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ রাখা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ক’দিন আগেই গঙ্গার নীচে হয়েছে ট্রায়াল! এবার আবার কোন নতুন সুখবর শোনাল মেট্রো
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় আদালত চত্বরে বলেন, ‘‘খাটের তলায় কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের চার্জশিটের পাতার থেকেও বেশি বাম যুব-ছাত্র দের বিরুদ্ধে ২২৪ পাতার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। বামেদের ভয় পেয়েছে, তাই এমন চার্জশিট।’’সেই ঘটনায় মীনাক্ষীদের পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট দেয় পুলিশ।সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন ‘পলাতক’রা। অভিযোগ নাকচ করেন প্রত্যেকেই। পুলিশের প্রমাণে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী ইয়াসিন রহমান বলেন, ‘‘মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় লড়াই করছিলেন। পরিচিত মুখ। অথচ, তাঁকে পলাতক দেখিয়েছে পুলিশ। আমরা এই মামলা লড়ব। মইদুল মিদ্দা মৃত্যু হয়েছে যে অভিযানে, সেখানে পুলিশের এমন চার্জশিট একতরফা।’’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর।