গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাথে জোট নিয়ে দর কষাকষিতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় জোট। দুটি আসনে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে। কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা থাকা ওই আসন দুটিতে প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। কিন্তু সিপিএম একটি আসনেও জিততে পারেনি।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে আর 'ফেস' নয়, রাজ্য সম্মেলনে জানাল সিপিআইএম
advertisement
এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই অসহযোগীতার আঙুল তোলেন দলের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাথে জোট হয়। একই সঙ্গে আইএসএফের সাথে জোট করে সংযুক্ত মোর্চা তৈরি হয়। কিন্তু এর পরেও শূন্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয় সিপিএমকে। ভোটের অঙ্কও তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়। লোকসভার পরে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি।
আরও পড়ুন: 'আসনে বসে ভাষণ দিচ্ছেন', নেতৃত্বকে তীব্র কটাক্ষ সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনে
অন্যদিকে, শান্তিপুর ও খড়দা বিধানসভা উপনির্বাচনে কোনও জোট না হওয়ার পরেও দলের ভোট বাড়ে। সম্প্রতি হওয়া পুরসভা নির্বাচনে এক ধাক্কায় অনেকটা ভোট বেড়ে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। রাজ্য সম্মেলনে প্রতিনিধিরা এই পরিসংখ্যান নিয়েই এক হাত নেন নেতৃত্বকে। তবে জোট নিয়ে অবস্থান বদলে প্রকাশ কারাতের রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোকে অনেকেই নজিরবিহীন বলছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কারাতের এই অবস্থানে রাজনৈতিক বার্তার ইঙ্গিত রয়েছে। বিজেপিকে ঠেকাতে জোট বিরোধী কারাতও জোটের পক্ষে আসতে চাইছেন কী না তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। তবে জোট নিয়ে রাজনীতির কারবারিরা যতই সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রকাশ কারাতকে কাছাকাছি দেখতে চান না কেন, নিচুতলার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তাঁদের মতে জোট করে লাভবান হওয়া যায়নি। বরং জোট না হলেই ভোট মিলেছে।
Ujjal Roy