TRENDING:

West Bengal CPIM|| ফেসবুকে আর 'ফেস' নয়, রাজ্য সম্মেলনে জানাল সিপিআইএম

Last Updated:

West Bengal CPIM: দলের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে রাস টানতে চলেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের বক্তব্য, এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে কোনও নেতা বা নেত্রীর 'ব্যক্তি প্রচার' নয় গুরুত্ব দিতে হবে দলীয় প্রচারকেই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: দলের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে রাশ টানতে চলেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের বক্তব্য, এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে কোনও নেতা বা নেত্রীর 'ব্যক্তি প্রচার' নয় গুরুত্ব দিতে হবে দলীয় প্রচারকেই। 'আইটি সেল' বলে সিপিএমের সেরকম কিছু না থাকলেও সংগঠিত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে থাকে সিপিএম। এ ছাড়াও দলের ছাত্র-যুবরাও সোশ্যাল মিডিয়াতে 'অ্যাকটিভ' থাকে। যে কোনও বিষয়ের সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা।
advertisement

সম্প্রতি আনিস কাণ্ডেও সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে টুইটারে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিল দলের ছাত্রযুব সংগঠন এসএফআই ডিওয়াইএফআই। শুধু ছাত্রযুব কেনও দলের সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি থেকে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য, পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, রবীণ দেবের মতো প্রবীণ নেতারাও টুইটার, ফেসবুকে নিজেদের বক্তব্য জানান।

advertisement

আরও পড়ুন: বদলে যাবে আসানসোল ও বালিগঞ্জে উপনির্বাচনের দিন? সম্ভবনা প্রায় নেই!

গত নির্বাচনগুলিতেও সোশ্যাল মিডিয়াকে ভাল মতোই ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু প্রচারে নেতা নেত্রীদের ব্যক্তি প্রচার অনেক সময়েই দলকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন নেতৃত্ব। আর এটা নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দলের ছাত্রযুব সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় মুখ। বিভিন্ন বিষয়ে এই মাধ্যমে দলের তরফে বক্তব্যও পেশ করেন তাঁরা। দলের যুব সংগঠনের রাজ্যের সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দলের যুব নেতা শতরূপ ঘোষ, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের কথা রীতিমতো ভাইরাল হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চালু হতে পারে শীঘ্রই, আজ পরিদর্শনে আসছেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি

অনেক ক্ষেত্রে এঁদের অজান্তেই এইসব নেতানেত্রীদের নামে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় 'অতি উৎসাহী' সমর্থকেরা 'ফ্যান ক্লাব' তৈরি করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তৈরি হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি। এ সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে সেই নেতাদের বক্তব্য, ভিডিও, মিম, পোস্টার তৈরি করে পোস্ট করা হয়। আর এখানেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের আপত্তি। নেতৃত্বের মনে হয়েছে এই পদ্ধতিতে প্রচার করায় দলের চাইতেও কোনও নির্দিষ্ট নেতা বা নেত্রীর ব্যাক্তি প্রচার বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। যেটা কোনও কমিউনিস্ট দলের সঙ্গে মানানসই নয়।

advertisement

রাজ্য সম্মেলনের খসড়া ও প্রতিবেদনের ৫২ নম্বর পাতায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দলের সাফল্যের পাশাপাশি আগামিদিনে এর আরও বেশি করে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে " বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মতাদর্শে বলিয়ান হয়ে রাজনৈতিক সংগ্রামে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা পালনে কিছু বিচ্যুতি ও ঘাটতি রয়ে যাছে। সঠিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই ত্রুটি গুলি থেকে মুক্ত হতে হবে। ব্যক্তিগত প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নয় এই এই বোঝাপড়া যে সমস্ত পার্টি কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত তাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।" তবে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরি সোশ্যাল মিডিয়ার এই সমস্ত অংশকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

Ujjal Roy

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
West Bengal CPIM|| ফেসবুকে আর 'ফেস' নয়, রাজ্য সম্মেলনে জানাল সিপিআইএম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল