অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, "আমি অধীরবাবুর বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিভিন্ন দফতরে যা নিয়োগ হয়েছে। লুট হয়েছে। এর সঙ্গে ক্যাজুয়াল, কন্ট্রাক্টর সবাইকে একসাথে নিয়ে যৌথ আন্দোলনের আহ্বান জানাচ্ছি।" সিপিএম সূত্রে খবর, মূলত ছাত্রযুব সংগঠনের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের সূচনা হবে। দলীয় নেতৃত্ব প্রথম ধাপে পিছন থেকে এই আন্দোলনকে পরিচালনা করবেন। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে রণকৌশল ঠিক হবে। একটা সময় বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলনে রাজপথে একই সাথে দেখা যেত বাম-কংগ্রেস নেতাদের। বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে ভোটেও লড়েছিল তারা। একসঙ্গে মিটিং, মিছিল করেছিলেন দুই দলের নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: মেট্রোর রুট বাড়লে একধাক্কায় কমবে রোজগার, আশঙ্কায় অটো-টোটো চালকরা
আইএসএফকে নিয়ে ব্রিগেডে তাল কাটলেও সংযুক্ত মোর্চার নামে একই ছাতার তলায় ভোটেও লড়েছিল এই দলগুলি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছিল সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে। পরবর্তী সময় যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল সেখানে এই দুই দলের মধ্যে কোনও জোট হয়নি। তবে ভোটের হার বাড়ছিল সিপিএমের। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ায় ফলেই এই সাফল্য বলে মনে করছিলেন বাম নেতাদের একাংশ। তারও পরে সব বামপন্থী দলগুলোকে এক ছাতার তলায় এনে আন্দোলন কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার ফসল তোলার কৌশলও পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন নেতাদের একাংশ।
তবে বুধবারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের সেই বক্তব্যকে সমর্থন করাকে কংগ্রেস, সিপিএমের ফের কাছে আসার পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
UJJAL ROY