আরও পড়ুনঃ জ্যোতিহীন উত্তর ২৪ পরগনায় নজর সব দলের! ভোটের প্রথম সভায় কী ইঙ্গিত দবেন মমতা?
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে লড়তে দেশের বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোটের মঞ্চে যুক্ত হয়েছে। উদ্দেশ্য বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায়। কিন্তু রাজ্য ভিত্তিক রাজনীতিতে সেই সমীকরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। যেমন এই রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটে বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে। আবার শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে রয়েছে বাম ও কংগ্রেস। বামেদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটেও অংশ নেয় কংগ্রেস। রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে থাকবে দল তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম। এবার কী করবে কংগ্রেস? জাতীয় রাজনীতির দায়ে তৃণমূলের সঙ্গে যদি কংগ্রেস জোট করে তাহলে কী করবে সিপিএম? এই নিয়ে চর্চা চলছে বেশকিছু দিন ধরেই। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরেও একাধিক মত উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য অপেক্ষা করতে চায় সিপিএম।
advertisement
দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বার্তা দিয়েই সিপিএম জানিয়ে রাখল, কংগ্রেসের মাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে পরোক্ষ কোনও ‘সংস্রব’ও তারা রাখতে চায় না। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বুধবার থেকে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও জানুয়ারিতে ব্রিগেডে যুব সমাবেশের কথা মাথায় রেখে। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কংগ্রেসকে নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। বৈঠকে প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি বলেছেন, রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলাই সিপিএমের রাজনৈতিক লাইন। তাঁরা অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা চান। কিন্তু কংগ্রেসকে ঠিক করতে হবে, তারা কী চায়। সেই সঙ্গেই সেলিম পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কংগ্রেস যদি কোনও ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে আবার অন্য দিকে বামেদেরও সঙ্গে চায়, সেই পথে তাঁরা যাবেন না। কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ‘সংস্রব’ চলবে না বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
দলের রাজ্য সম্পাদক শুরুতেই অবস্থান ব্যাখ্যা করে দেওয়ার পরে প্রথম দিনের বৈঠকে কংগ্রেস নিয়ে সিপিএমের জেলার নেতারা আর আলোচনা করেননি। তবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রসঙ্গ ফের বৈঠকে উঠেছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। কিছু জেলার নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলের সঙ্গে ‘সংস্রব’ থাকবে না বলে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব। আবার সর্বভারতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে দলের নিচু তলায় এবং জনমানসে কিছু ‘বিভ্রান্তি’ থেকেই যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে ডিওয়াইএফআই-এর ‘ইনসাফ যাত্রা’ রাজ্য জুড়ে বাম সংগঠনে নতুন উৎসাহ সঞ্চার করেছে বলে অবশ্য দাবি করেছেন প্রায় সব জেলার নেতারাই।