কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কলকাতার দুই প্রান্তের দু'টো বড় মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম কলকাতা জেলা কমিটি। মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে মঙ্গলবার বেলায় সেই মিছিল দুটি বাতিল করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় কলকাতার গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় এবং উত্তর ও মধ্য কলকাতার জন্য সুবোধ মল্লিকের স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত জনবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে মিছিলের আহ্বান করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের ঘরে ফেরা ও পরীক্ষা পরবর্তী খাতাপত্র স্থানান্তর জন্য পুলিশ এই মিছিলে অনুমতি দেয়নি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নির্মেদ সংগঠন গড়তে তৎপর, পঞ্চায়েতের আগে নিষ্ক্রিয় কর্মী নিয়ে ধন্ধে সিপিআইএম
সিপিএমের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার ২০২৩-২৪ এ বাজেট সংসদ এবং বিধানসভার পেশ করেছে তাতে সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কোন কথা বা বরাদ্দ নেই। নতুন কর্মসংস্থান বা শিল্পায়নের বিষয়ে সরকার কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। উল্টে ১০০ দিনের কাজের মত সাধারণ দিনমজুরদের কর্মসংস্থানে কোপ বসানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্কলার্শিপ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক বীমা থেকে শুরু করে একাধিক খাতে মানুষের গচ্ছিত টাকার কোনও সুরক্ষা নেই। বরং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ আদানির মত একাধিক পুঁজি প্রতি শিল্পপতিদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টায় আছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুনঃ কপালে ধ্যাবড়ানো সিঁদুর-চন্দন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে সুজাতা মণ্ডল, পাত্র কে জানেন?
বহু বছর ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ন্যায্য ডিএ পাচ্ছেন না। চলতি বাজেটে অর্থমন্ত্রী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মাত্র ৩ শতাংশ দিয়ে ঘোষণা করেছেন। যাতে খুশি নয় সরকারি কর্মচারীদের বৃহৎ অংশ। সিপিএমের অভিযোগ, রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে খেলা মেলা এবং ভাতার মাধ্যমে ভোট ব্যাংক কুড়ানোর চেষ্টা করছে।
রাজ্য এবং কেন্দ্র দুই সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিপিআইএম। কিন্তু ঘোষিত কর্মসূচি বাতিলের কারণ প্রসঙ্গে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, "দুবেলা মাধ্যমিক, CBSE, ISC পরীক্ষা চলাকালীন ট্রাফিক জ্যামের সম্ভাবনা ও আশঙ্কার কারণে, পরীক্ষা সংক্রান্ত খাতা ও কাগজপত্র স্থানান্তর করার অসুবিধা এবং মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কারণে আজকের মিছিলের অনুমোদন পুলিশ প্রশাসন শেষ মূহুর্তে দেয় নি। রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিচারে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যার মধ্যে আমরা ও ফেলতে চাই না। এমতাবস্থায় আজকের কেন্দ্রীয় মিছিল দুটির কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।"
UJJAL ROY