কিন্তু এই অভিযানের গতিতে সন্তুষ্ট নয় বামেরা। তদন্তের গতি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিধান নগরের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে। এখানেই সিবিআই ও ইডির দফতর রয়েছে। বিমান বসুর নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই অভিযান হবে বলে ফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবার ভানুর চরিত্রে, অপেক্ষা 'যমালয়ে জীবন্ত ভানু'-র
কেনও এই অভিযান? বামফ্রন্টের শরিক দলের নেতা মিহির বাইন জানিয়েছেন, "রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে তার ফলে রাজ্যের বিরাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। যোগ্যরা রাস্তায় বসে আছে আর কিছু অসাধু মানুষ চাকরি পেয়েছে। আর শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা এর থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। সেই টাকার একটা অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এটা ঠিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৎপরতা দেখানোয় কিছুটা সাফল্য মিলেছে।'
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু-করোনা অতীত, মেডিক্যালে নতুন রোগ নিয়ে শিশু রোগীদের ভিড়ে বাড়ছে আতঙ্ক!
তিনি আরও বলেন, 'কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আরও দ্রুত এই তদন্ত চালাতে হবে। কারণ এর সঙ্গে রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। এর আগে সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিছুদিন তৎপরতা দেখালেও বর্তমানে সেটা কী অবস্থায় রয়েছে সবাই জানে। গরিব মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা কোনও শাস্তি পায়নি। তাই এই তদন্তে আরও গতি এনে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। দোষীদের সাজা দিতে হবে।'
মঙ্গলবার রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তাই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সিজিওর সামনে ৯ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি তো হবেই। তার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রচার আন্দোলন কর্মসূচি করা হবে। জেলাগুলিকে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে এমনি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।