দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করতে চায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সেই কারণেই একটি বড় টিম প্রয়োজন। এরজন্য বামপন্থী মনস্ক এবং দলের প্রতি আগ্রহীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে।
দলীয় সূত্রে খবর, বহু মানুষ যারা একসময় দলের বিভিন্ন গণসংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন ঘটনাচক্রে তাঁরা বর্তমানে পেশাগত কারণে আর দলে যুক্ত থাকতে পারছেন না। দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা এইসব পেশাদারদেই এইসব পেশাদারদের খুঁজছে দল। আবার আগ্রহ থাকলেও দলের সাথে যুক্ত হয়ে ওঠেনি এমন মানুষকেও কাজে লাগানোর কথা ভাবছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু, শূন্যপদ কত? মানে কতজনকে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩০ জায়গায় ছটের আয়োজন, মোতায়েন ৪ হাজার বাহিনী! ছট নিয়ে কড়া ব্যবস্থা প্রশাসনের
কত কর্মী আবেদন করবে তার উপর পুরে বিষয়টি ঠিক করা হবে। আপাতত ঠিক হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সক্রান্ত কর্মীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম অর্থাৎ বাড়িতে থেকেই কাজ করবেন। দলের তরফ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। অথবা সেই কর্মী দলের অনুমতি নিয়ে নিজে থেকে কাজ করবেন৷ পরবর্তী সময়ে অফিস চালু করার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে কর্মীরা চাইলে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
দলের এই বিভাগের এক নেতৃত্ব জানিয়েছেন, কর্পোরেট সংস্থাগুলি এই অ্যাপের মাধ্যমে কাজের লোক খুঁজে থাকে। আর কর্মীরাও এই অ্যাপেই নিজেদের কাজ খোঁজে। তাই এখান থেকে কর্মী পাওয়া অনেক সহজ হবে৷ অনেক প্রাক্তনী দেশে বিদেশে রয়েছে কর্ম সূত্রে। নিজেদের কাজের পরে বাড়ি থেকে তারা এই কাজ করতে পারবে। তবে যেহেতু, এটি একটি রাজনৈতিক দল, কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, তাই স্বেচ্ছাসেবক হয়েই কাজ করার জন্য বলা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: সুগার ৩৫০, কিডনির রোগ থার্ড স্টেজ! জেলে একী অবস্থা জ্যোতিপ্রিয়র.. আবারও কি হাসপাতালে?
দলের এই চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানালেও কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার বিষয়টির সাথে কেউই সহমত নয়। গত লোকসভা নির্বাচন আগে থেকে থেকে দলের প্রচারের জন্য বেশকিছু গান তৈরি করেছে নীলাব্জ নিয়োগী। ব্রিগেডের টুম্পা সোনা গানের প্যারোডিটিও তারই তৈরি করা।
তিনি বলেন, “কাজ করে সবাই নিজের পারিশ্রমিক আশা করেন। বিশেষ করে যারা শ্রমের বিনিময়ে অর্থের কথা বলেন তাঁদের কাছে তো এটা আশা করাটা অন্যায় নয়। কারণ যে কোনও কিছু সৃষ্টি করতে যে সময়টা লাগে সেটার দাম আছে পরিশ্রম আছে এবং একই সঙ্গে আনুষাঙ্গিক বেশকিছু জিনিসের প্রয়োজন। টাকা না দিলে এগুলো কোথা থেকে আসবে? আর যদি ধরেও নেওয়া যায় যে কিছু লোক আবেগে সেই কাজ করবে টাকা না দিলেও তাঁকে সঠিক প্রচার দিতে হবে। যাতে সেই কারণে তাঁর কাছে অন্য জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসে।”
ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর পরাগ সরকার বলেন, “আজকাল টাকা ছাড়া কোনও কাজ সম্ভব নয়। ঘরের খেয়ে কে বনের মোষ তাড়াতে যাবে। আর স্বেচ্ছাশ্রমে যে কাজটা হয় তাতে পেশাদারিত্ব থাকে না। তাই কাজের মানও ভালো হয় না। আর সিপিএম পার্টি তো হোলটাইমারদের ভাতা দেয়। নেতারা তো দল থেকে টাকা পান। যেটা তাঁদের রুটিরুজি। এটাই তো বিজ্ঞান সম্মত বিষয়। তাহলে কী করে সেই দল আশা করে যে অন্য কেউ এইটা করবে? সেই সময়টাতো কোনও পেশাদার ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ রোজগার করতে পারেন৷ তাহলে কী কারনে সে বেকার খাটবেন? আবেগ দিয়ে চিড়ে ভেজে না। বহু রাজনৈতিক দল এই কাজ করিয়ে টাকা দেয়। তাহলে সিপিএম দেবে না কেনও?”