বোলপুর হাটতলা এলাকার বাসিন্দা বিজয় অনুব্রতর অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন বলে পরিচিত মহল সূত্রের খবর। সামান্য শিক্ষাকর্মীর কাজ থাকা সত্ত্বেও তাঁর বড় বাড়ি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, এই বিজয়ের অ্যাকাউন্টে বহু টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। এর আগেও গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডাক পড়েছিল বিজয়ের।
advertisement
ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারকদের অ্যাকাউন্টে নানা সময় বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই তদন্তে গিয়ে দেখা গিয়েছে বিজয়েরও রয়েছে একাধিক ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কেন এতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তিনি? কত টাকা সেখানে লেনদেন হতো, সে সবই জানতে চাইছে ইডি।
গত মঙ্গলবারই সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্য়াকাউন্ট্য়ান্ট মণীশ কোঠারিকে। তাঁকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে গ্রেফতার করে ইডি। তার পরের দিনই অবশ্য কেষ্ট কন্যা সুকন্যা তলব করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি।
গরু পাচার মামলায় আপাতত ইডি হেফজাতে অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লিতেই রয়েছেন গরু পাচার কাণ্ডের মূল চক্রী এনামূল হক এবং কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার একে একে অনুব্রতর মেয়ে সহ ১২ জনকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে ইডির দিল্লি দফতরে। সেখানে তাঁদের অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রে খবর, ১২ জনের তালিকায় অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ এবং সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধার নামও ছিল। বোলপুরের বাসিন্দা তৃণমূলকর্মী কৃপাময়কে শক্তিগড়ে ব্রেকফাস্ট করার সময়ে অনুব্রতের সঙ্গে খেতে দেখা গিয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের দাবি, তলব করা হলেও বৃহস্পতিবার তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি।