নিজাম প্যালেসে বুধবার চিঠি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দুই আইনজীবী আসেন সিবিআই দফতরে। গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা এড়ানোর পর সিবিআই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। প্রথমত, সিবিআই ফের অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, সিবিআই টিম প্রয়োজনে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তৃতীয়ত, অনুব্রত পলাতক নন, ফলে প্রথমেই সিবিআই আদালতে নাও যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: মল্লারপুরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুখ খুললেন মমতা, ক্ষতিপূরণ-সহ বড় ঘোষণা
কিন্তু, সিবিআই যদি বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করতে কোনও বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সিবিআই চাইলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। কারণ, দশ বার নোটিশ সত্ত্বেও হাতে গুণে এক বার এসেছিলেন অনুব্রত। বেশিরভাগ সময় আসেননি অনুব্রত। তদন্তে অসহযোগিতা জন্য আদালত মনে করলে গ্রেফতারির ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারে বা নির্দেশ দিতে পারে তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য বা তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করলেও কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে মানাও করতে পারে। তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আদালতের উপর।
আরও পড়ুন: রাত নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে কোলাঘাটবাসীকে, বাতাসে মিশছে বিষাক্ত গ্যাস! প্রবল চাঞ্চল্য
তার আগে সিবিআই কোন পথে হাঁটে সেটাই দেখার। ইতিমধ্যে বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে । এমনকী চিকিৎসক ক্যামেরার সামনে দাবি করেন, তাঁকে বেড রেস্ট লিখতে অনুরোধ করেছিলেন অনুব্রত, সে কারণে চিকিৎসক লিখেছেন বলে দাবি চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল চিকিৎসককে বেড রেস্টে জন্য লিখতে বলেছেন, এই বিষয়ে উপর নজর সিবিআইয়ের। অনুব্রত কি তাহলে প্রভাব খাটাচ্ছেন? সিবিআই নজরে রাখছে। এমনকী ভাইরাল অডিও ক্লিপস সংগ্রহ করতে পারে সিবিআই। কণ্ঠস্বর কার তা খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। দুই চিকিৎসকের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। এবার কি আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডস, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।