সিবিআই তদন্তে দাবি, যাঁরা সীমান্তে গরু পাচার করত তাঁদেরকে সমস্ত সুবিধা প্রদান করতেন এই অনুব্রত মণ্ডলই। এই বিষয়ে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। ফলে অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। অন্যদিকে, ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, যাঁরা সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে সুবিধা প্রদান করতেন অনুব্রত গরু পাচারকারীদের? তাহলে কি তাঁদের সঙ্গেও অনুব্রতর যোগাযোগ ছিল?
advertisement
আরও পড়ুন: আমার সব শেষ...! 'মায়ের খাবার-ওষুধ যোগাচ্ছে কে?' জেলে বসে সঙ্কটের কালো মেঘ অর্পিতার চোখে
ফলত, এবার কাস্টমস, বিএসএফের উপরেও নজর সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মন্ডলের বিপুল সম্পত্তি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কর্মচারীদের নামেও, এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির আয়ের উৎস এখনও পরিষ্কার নয়। আদালত অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করার অন্যতম কারণ এটিই। ফলে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
সিবিআই হেফাজতে নিয়ে সিবিআই এবার অনুব্রতর আয়ের উৎস ও সীমান্তে গরু পাচারে 'সর্বশক্তিমান সুবিধা প্রদানকারী' হিসাবে অনুব্রতর ভূমিকা নিয়ে জেরা করবে সিবিআই। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। আর সেকথাই সিবিআই আদালতকে জানায়। ফলে অনুব্রত মণ্ডল আরও বিপাকে।
আরও পড়ুন: ইডি কেন রাজ্যে? CBI তদন্তে সর্ষের মধ্যে 'ভূত' পাচ্ছেন খোদ দিলীপ, দিলেন 'সেটিং' তত্ত্ব!
এরইমধ্যে রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ গায়েনের বাড়িতে সিবিআই টিম যায় । বিদ্যুত গায়েন পুরসভার কর্মী। অনুব্রতর মেয়ের কোম্পানিতে বিশেষ পদে ছিলেন বিদ্যুত গায়েন, দাবি সিবিআইয়ের। দুই সদস্যর সিবিআই টিম প্রায় ঘণ্টা খানেক ছিল গায়েনের বাড়িতে।যদিও বাড়িতে বিদ্যুত গায়েন ছিলেন না। ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, দক্ষিণ ভারতে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদ্যুৎ ৫০-৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বিদ্যুতের। প্রাসাদসম বাড়ি, জমি! কোথা থেকে এল টাকা? আয়ের উৎসর সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তি?
সবমিলিয়ে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের উপর এবার সিবিআইয়ের কড়া নজর। আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করতে সিবিআই টিম বিদ্যুত গায়েনের বাড়িতে যায় আজ। ঘণ্টাখানেক পর বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই টিম। রাইস মিল, পেট্রোল পাম্প-সহ একাধিক সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে? কী ভাবে এত সম্পত্তি? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। ফলে অনুব্রত মণ্ডল এবার আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের।
অর্পিতা হাজরা