এই ধরনের অজুহাত বেশিরভাগ মিষ্টির কারখানায় গেলে দেখা গেল। সেই মিষ্টির দোকানে দাঁড়িয়ে সাধারণ ক্রেতা মিষ্টি কিনছে। ফুড অ্যান্ড সেফটি নিয়ে আমাদের দেশে আইন থাকলেও, তার প্রয়োগ ঠিকঠাক হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতামত, খালি হাতে মিষ্টির কারিগররা মিষ্টি বানান। যার ফলে হাতের ঘাম কিংবা নখের কোণে জমে থাকা ময়লা সরাসরি মিষ্টির সঙ্গে মিশে যায়। অনেক সময় কারিগরের আঙুলের ছত্রাক মিষ্টির সঙ্গে মিশে গিয়ে মানব শরীরে ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে। আর সেই ক্ষতি এতটাই মন্থর গতিতে হয়, যার ফল তৎক্ষণাৎ বোঝা যায় না।
advertisement
আরও পড়ুন : ভয় ধরাচ্ছে কলকাতা! ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১১,৪৪৭, মৃত্যু ৩৮ জনের
দেখা যায়, যেখানে মিষ্টি তৈরি চলছে, তার পাশ দিয়ে কারিগররা সবাই হাঁটাচলা করেন। যার ফলে মিষ্টিতে জীবাণু সংক্রমণ অতি সহজ হয়ে যায়। দিনের পর দিন ধরে চলে আসা অনিয়ম আজও অপ্রতিরোধ্য।
আরও পড়ুন : বাংলার বন্যা নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করবে রাজ্য সরকার ও এলঅ্যান্ডটি
মিষ্টির দোকানের আসা এক ক্রেতা জানালেন, এই ভাবেই তারা দিনের পর দিন দেখে আসছেন। তিনি এও উল্লেখ করে বলেন, মিষ্টির দোকানে মিষ্টি প্রস্তুত করতে যে জল ব্যবহার করা হয়, সেটির মান সঠিক নয়। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সবসময় বলেন, সাধারণ জলে ভারী মেটাল থাকে যেমন, আর্সেনিক,লেড,ক্রোমিয়াম থেকে আরম্ভ করে অনেক কিছু। যা মানব শরীরে পেটের সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া শরীরে ক্যান্সারের সংক্রমণ ঘটাতে সাহায্য করে। প্রশ্ন, এই বিষয়গুলো দেখবে কারা ? যেখানে সারাদিন সারা রাজ্যে প্রতিদিন কয়েক টন মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। প্রশ্ন থেকেই গেল।