এই ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃতকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে এই ঘটনায় যুবরাজ সিং নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আগেই জানা গিয়েছিল, এই ঘটনার সঙ্গে বিহার যোগ রয়েছে। বিহারের বৈশালী থেকে এসেছিল তিনজন।
তাদের খিদিরপুরের একটি জায়গায় রাখা হয়। খিদিরপুর থেকে প্রথমে ট্যাক্সিতে যায় তারা। তারপর স্কুটিতে স্পটে পৌঁছয়। ট্যাক্সি চালক আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহমেদের ট্যাক্সিতে চেপেই অপারেশনে গিয়েছিল তারা। ফেরার পথেও তার ট্যাক্সি ব্যবহার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- বাবা-ছেলের বিলাসবহুল জীবন দেখে মাথা ঘুরে যেত সবার! এবার ফাঁস তাদের ‘গোপন’ রোজগার…!
রাতে কলকাতায় গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর এদিন সকালেই বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক করে ইকবাল। সেই মতো একটি মোটর সাইকেলে সে রওনা দেয়। সে সময় উনিশ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল গলসি থানার পুলিশ। সড়ক পথে সে পালাতে পারে বলে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সব জেলা পুলিশকেই সতর্ক করে দিয়েছিল। মোটর সাইকেলের কলকাতার নম্বর প্লেট দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের একটি দল গলসি থানায় পৌঁছয়। সেখানে তারা ইকবাল ওরফে গুলজার ওরফে আফরোজকে জেরা করে। এরপর তাকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি থানার পুলিশ এ ব্যাপারে বাড়তি তৎপর ছিল। সে কারণেই এই সাফল্য এল। কী কারণে কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক কষা হয়েছিল, ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক কারণে এই খুনের চেষ্টা তা জানতে তৎপর পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে খুব তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।