আগেই ১৩০০ শিশুদের আইসিইউ (PICU) এবং ৩৫০টি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (SNCU) গড়ে তোলার কথা বলা হয়। নতুন করে রাজ্যের তিনটি হাসপাতালকে সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (COE) আখ্যা দিয়ে এইএসএনসিইউ এবং পিকুগুলিকে এর তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা হলো। এই হাসপাতালগুলি হলো, ফুলবাগান বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, পার্ক সার্কাস কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ,উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ।
advertisement
আরও পড়ুন-স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ১০ হাজার আবেদনপত্র বাতিল! ব্যাঙ্কের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নবান্ন
এই তিনটি হাসপাতালের প্রত্যেকটিতে সর্বাধিক ৩০টি সরকারি হাসপাতাল যেখানে শিশুদের আইসিইউ আরও নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে সেখানকার চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষিত করা, শিশুদের করোনা চিকিৎসার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে রয়েছে কিনা, তা দেখতে হবে। রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল,সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আইসিইউ বা শিশুদের আইসিইউ রয়েছে,সেই সমস্ত জায়গায় পরিকাঠামো আরও উন্নতি করার জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলো রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন- আইনি জটিলতার অবসান! ১৬ নভেম্বরই খুলছে স্কুল, রাজ্যের সিদ্ধান্ত বহাল হাই কোর্টে...
এই টাকা দিয়ে মূলত করোনার তৃতীয় ঢেউতে যাতে কোনও রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব না ঘটে, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত শ্বাসকষ্ট হলে যে বাইপ্যাপ মেশিন, বাবল সিপ্যপ মেশিন, ব্লাড অ্যানালাইজার মেশিন, হিউমিডিফায়ারের মতো মেশিন কেনার দরকার, তার জন্যই এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ২০ হাজার ছুঁই ছুঁই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। সেই কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ, অনেক আগে থেকেই সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করছে। কোনও রোগীকে যাতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
অভিজিৎ চন্দ