প্রথমটায় কী হয়েছে, এর পর কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না৷ স্ত্রী পূর্ণিমা তো তখনও কোচে৷ উনি ঠিক আছেন তো? কোনও রকমে প্যান্ট্রি কার থেকে বেরিয়ে নিজের কোচের সামনে আসেন চিত্তরঞ্জন৷ ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়৷ চর্তুদিকে শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ৷ চারপাশে চাপ চাপ রক্ত৷ স্নায়ু যেন অবশ হয়ে যাচ্ছিল৷ কী ভাবে বাঁচাবেন স্ত্রীকে? বুঝে উঠতে পারছিলেন না৷
advertisement
আরও পড়ুন: ওড়িশার বালেশ্বরে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ঘুরে দেখলেন দুর্ঘটনাস্থল
অবশেষে স্থানীয় গ্রামবাসী এবং রেসকিফ টিমের সদস্যদের সহযোগিতায় জানলার কাচ ভেঙে স্ত্রী পূর্ণিমাকে উদ্ধার করেন তিনি৷ রাতেই তাঁদের বালেশ্বরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই হয় প্রাথমিক চিকিৎসা৷ কিন্তু, পূর্ণিমা দেবীর অবস্থা একটু সঙ্গীন হওয়ায় রাতেই গাড়ির ব্যবস্থা করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন কলকাতার এই দম্পতি৷
বর্তমানে পূর্ণিমা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর মাথায় ও হাতে চোট লেগেছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে পূর্ণিমা বলছিলেন, “মেয়ে চেন্নাইয়ে পড়াশোনা করে৷ ওকে দেখতেই আমরা দুজনে চেন্নাই যাচ্ছিলাম৷ তার পর যা হল…এখনও ভুলতে পারছি না। ট্রমার মধ্যে রয়েছি। বীভৎস ঘটনা৷ চোখ বন্ধ করলেই ভয় করছে। এখনও ভয়ে কাঁটা দিচ্ছে গায়ে।’’ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে টালিগঞ্জ এলাকায় নিজেদের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন চিত্তরঞ্জন। যদিও স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ARPITA HAZRA
