সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে দেশজুড়ে ৩৫০ বেশি আসনে লড়তে চাইছে কংগ্রেস। ভিন্ন রাজ্য থেকে এই সংখ্যক আসনে লড়াই তাদের টার্গেট। কিন্তু, এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে বিভিন্ন রাজ্যে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলিকেও আসন ছাড়তে হবে৷ আর সেখানেই বেঁধেছে আসল সমস্যা৷
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেও কংগ্রেস তাদের সিদ্ধান্ত না জানানোয় বিভিন্ন শরিক দলের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন৷ একাধিক ক্ষুব্ধ শরিকদলের বক্তব্য, ফের ডেডলাইন মিস করল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: বেড়েছে DA, জানুয়ারি থেকেই বাড়তি টাকা! বেতন কত বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের?
আসন সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে অবশ্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের সেই ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স কমিটি অবশ্য ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরেছে। বৈঠকে উঠে এসেছে কর্ণাটক, তেলঙ্গানা, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে একা লড়তে চাইছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: টাক পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে ‘এই’ ফল! রোদে শুকিয়ে জলের সঙ্গে বেটে নিন বীজ…তারপর
অন্যদিকে, দিল্লি (৫), পশ্চিমবঙ্গে (৫), পাঞ্জাবে (৮), উত্তরপ্রদেশে (১০), তামিলনাড়ু (১০), মহারাষ্ট্র (২০) আসন দাবি রাখতে চলেছে কংগ্রেস। যদিও তৃণমূল, আপ, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে’র সাথে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও আলোচনাই করেনি রাহুল-সনিয়ার দল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী দুই সপ্তাহে তারা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে তারা।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আসন সমঝোতার জন্য আমাদের নেত্রী ৩১ ডিসেম্বর অবধি সময় দিয়েছিলেন। আমরা তার উত্তর পাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করছেন। দেখছেন। এটা ঘটনা, বাস্তবের উপর দাঁড়িয়ে একাই তৃণমূল হারিয়েছে বিজেপি-কে। আর ওরা বিরোধিতা করল তৃণমূলের। সেটা হল শূন্য। কংগ্রেস বাস্তব অবস্থা বুঝুক।’’