কাসেম আলী খান(২৫)। বাড়ি আরামবাগের কড়ুই গ্রামে। ২১তারিখ রাত বারোটা নাগাদ গোঘাট থেকে আরামবাগ আসার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়। পেশায় কাঠের মিস্ত্রী। গরিব সংসার। মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাশেমকে পুলিশ আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করে। রীতিমতো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং চোয়াল ভেঙে যায় দুর্ঘটনায়। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল বৃহস্পতিবারে ওখান থেকে কলকাতায় রেফার করে দেয়। ৪৭০০ টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে আত্মীয়রা তাকে প্রথমে পিজি হাসপাতাল, সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজ হয়ে চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল।
advertisement
আরও পড়ুন: বগটুইয়ের অদূরেই এ কী পেল পুলিশ! বাদ গেল না কেশপুরও, ২৪ ঘণ্টাতেই ফলছে ফল?
অবশেষে ভোর বেলায় কাসেম ভর্তি হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে। রোগীর জামাইবাবু নুর ইসলাম ভর্তি করেন নীলরতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শয্যায় দেওয়ার পরে চাপ আসতে থাকে মাথার ব্যান্ডেজ খোলার জন্য ১৫০০ টাকা দিতে হবে। রোগীর আত্মীয় রোগীর কাছে থাকতে পারবে না। যিনি থাকবেন তিনি পাঁচশ টাকা করে নেবে প্রতিদিন।তারপর চা জল এসবের ফরমায়েশ ছিলই। গরিব পরিবারের পক্ষে কলকাতায় থেকে চিকিৎসা চালানোর মত আর্থিক বল নেই।
আরও পড়ুন: অশান্তির অভিযোগে বিদ্ধ বাংলা, আসানসোল-বালিগঞ্জ নিয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত কমিশনের
নীলরতন সরকার হাসপাতালে চোয়ালের চিকিৎসা হবে না। ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে রোগীর কাছে যেতে গেলে টাকার দাবি রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ইতিমধ্যে বেজায় বিপদে পড়েছেন রোগীর বাড়ির আত্মীয়রা। তাদের বক্তব্য 'সরকারি হাসপাতালে এসে চরম বিপদে পড়েছি।সারাদিনে আমাদের খাওয়া, ওষুধ সব কিছুর পর এত টাকা খরচ হলে রোগীর চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ি ফেরত নিয়ে যেতে হবে। তাতে কপালে যা আছে তাই হবে। বাধ্য হয়ে ওদের চাপে টাকা দিয়েছি।' যদিও হাসপাতালে ওয়ার্ডে গিয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি।