জানা গিয়েছে, বুধবার শওকতের কাছে পৌঁছায় সিবিআই-এর নোটিশ। সশরীরে হাজিরা দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক নথিও তাঁকে আনতে বলা হয়েছে। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, নিজাম প্যালেসে আসার সময় শওকত যেন তাঁর সঙ্গে পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড নিয়ে আসেন।
এখানেই শেষ নয়, একই সঙ্গে তাঁকে ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথিপত্রও নিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদি তৃণমূল বিধায়কের কোনও ব্যবসা থাকে, সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁকে আনতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শওকতের অবশ্য প্রতিক্রিয়া, ''যা বলার পরে বলব।''
advertisement
আরও পড়ুন: এসে পৌঁছেছে 'সেই সব' নথি, অনুব্রতকে নিয়ে ছক সাজাচ্ছে সিবিআই! শুক্রে যা হতে চলেছে...
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের হেভিওয়েটদের ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। গরু পাচার কিংবা ভোট পরবর্তী অশান্তির মামলায় যেমন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেইসঙ্গে এসএসসি দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই। এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে ডাক পড়ল শওকত মোল্লার।
আরও পড়ুন: চোরদের জন্য 'নরক' হয়ে গেল সল্টলেক সিজি ব্লক! বাসিন্দারা যা করলেন, অভাবনীয়
এ প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''শওকত মোল্লা নিয়ে আমি কিছু জানি না। তাই এই ব্যাপারে আমার বলা ঠিক হবে না।'' অপরদিকে, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''কেউ বাদ যাবে না। তৃণমূলের প্রত্যেকটা নেতা, মন্ত্রী কয়লা পাচার, গরু পাচার, বালি পাচার, স্টোন পাচারে যুক্ত হয়ে আছে। আস্তে আস্তে তৃণমূলের সত্যটা বেরিয়ে আসছে, মুখোশটা খুলে যাচ্ছে। এক বছরের মাথায় মানুষের কাছ থেকে তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে এবং দলের অর্ধেক নেতা-মন্ত্রীরা জেলের ভেতরে থাকবে।''
