আরও পড়ুন- "রাজ্যে মন নেই আর, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা": কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের!
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে অভিষেক ও রুজিরাকে। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের (Bengal Assembly elections) পরে সেপ্টেম্বরে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ (Coal Scam Case) করেছিল ইডি। অভিষেক ও রুজিরা দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হওয়ায় তাঁদের দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিতির জন্য তলব করা উচিত নয়, এই মর্মে আদালতে আবেদন করেছিলেন তাঁরা।
advertisement
গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্ট এই আবেদনকে খারিজ করে দেয়। যার ফলে ফের ইডির কাছে হাজিরা দিতেই হচ্ছে অভিষেক ও রুজিরাকে।
তৃণমূল যদিও এই বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলেই মনে করছে৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে৷ “তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলাকে ছোট করার জন্যই অভিষেককে হেনস্থা করছে৷ বিজেপিকে পরে তাদের এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মূল্য দিতে হবে,” বলেন ব্রাত্য (State Education Minister Bratya Basu)।
আরও পড়ুন- পঞ্জাব দখলের পর এবার আম আদমি পার্টির পাখির চোখ কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড় বিধানসভা!
দলের অন্দরের আরও অনেকেই বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে, বিজেপির তার ‘রাজনীতি’র অংশ হিসেবেই বাংলার নেতৃত্বকে ‘কলঙ্কিত’ করতে এই কাজগুলি করে চলেছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী, দু’জনেই এই মামলায় আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ (Coal Scam Case) করেছিল ইডি। টানা আট ঘণ্টার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি দেশের আইন মেনে চলবেন তবে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই বন্ধ করবেন না।
যদিও এই সমনের ঘটনায় ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া দলের বক্তব্য, দিল্লি হাইকোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করেছে তাই ইডি ওঁদের তলব করবে এমনটাই কথা ছিল। “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই,” জানিয়েছে দলের এক সূত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী ছাড়াও তাঁর পিএ এবং ঘনিষ্ঠ অন্যান্য সহযোগীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ (Coal Scam Case) করা হয়েছে।