কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে যে ডায়েরির কথা বলেছে তাতে অনুপ মাঝির সেই ডায়েরিতে ‘এম ঘটক’ বলে উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করে শুধু মলয় ঘটকই নয়, বেশ কিছু তাবড় পুলিশ কর্তাদের নামও আছে বলে তথ্য সামনে এসেছে বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী ভাবে তদন্ত করবে বা কার বাড়িতে অভিযান চালাবে তা একান্তই তদন্তকারীদের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।
advertisement
কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝির ডায়েরির সূত্র ধরেই বুধবার মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই টিম হানা দেয়। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুপ মাঝির ডায়েরি সূত্রে মলয় ঘটকের নাম উঠে আসে তদন্তে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, প্রতি মাসে অনুপ মাঝির থেকে হাত ঘুরে মোটা অঙ্কের লক্ষ লক্ষ নগদ যেত মলয় ঘটকের কাছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। অর্থাৎ বছরে কোটি কোটি টাকা যেত?
এত বিপুল টাকা কেন দেওয়া হত? কোন কোন অ্যাকাউন্টে যেত? কি উদ্দেশে লেনদেন? এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। আর সেই সূত্র ধরেই মলয় ঘটকের বাড়িতে বুধবার সকাল আটটা থেকে কলকাতা-সহ আসানসোলের মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালায়। বুধবার সাতসকালে সিবিআই টিম লেক গার্ডেন্সে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন- জঙ্গলমহলের জন্য বিশেষ কৌশল? আজ তৈরি করে দিতে পারেন মমতা-অভিষেক
মন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোল ও কলকাতার একাধিক বাড়িতে একযোগে চালায় তল্লাশি। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি৷ গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আর তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই ৷ ফলে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে সিবিআই হানা দিতেই তাঁর সম্পত্তি নিয়েও জল্পনা ছড়ায় ৷ দিনের শেষে মন্ত্রী মলয় ঘটক অবশ্য দাবি করলেন, কলকাতায় তাঁর সরকারি আবাসনে হানা দিয়ে সাকুল্যে নগদ ১৪ হাজার টাকা পেয়েছে সিবিআই ৷ 'নগণ্য' এই অঙ্কের টাকা সিবিআই আধিকারিকরাও বাজেয়াপ্ত করার উৎসাহই দেখায়নি সিবিআই ৷ অন্তত এমনই দাবি করে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘আমার সবকিছুই স্বচ্ছ। কোনও অস্বচ্ছতা নেই।’’