সিএনজি গ্যাস বিক্রি হয় লিটারে নয়, কেজিতে৷ কলকাতায় যার দাম এক কেজি ৯০ টাকা, পশ্চিম বর্ধমানে ৯৩ টাকা, হাওড়ায় ৯৫ টাকা, হুগলিতেও ৯৫ টাকা৷ এই গ্যাসের দাম প্রতিদিন বেড়ে যাওয়ায় অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের৷ সিএনজি-র অভাবের কারণে শুধুমাত্র সাপুরজি থেকে উল্টোডাঙ্গা রুটের বাস চলাচলে সমস্যা হচ্ছে এমনটা নয়। সিএনজির জোগান পর্যাপ্ত না থাকায় বেসরকারি বাসের মালিকরা বাস নামাতেও পারছেন না।
advertisement
সূত্রের খবর, শখেরবাজার থেকে সাপুরজি ও কামালগাজি থেকে বারাসত রুটে বাস চালাতে প্রস্তুত বেসরকারি বাস মালিকরা। তাদের তরফে সিএনজি নিয়ে বাস চালাতে চান। কিন্তু সিএনজি'র জোগান সে অর্থে নেই, তাই বাস নামাতে চাইছেন না অনেকেই, অভিযোগ বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি টিটো সাহার।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে উদ্বেগ বায়ুদূষণ, সমস্যা মোকবিলায় জরুরি বৈঠক ডাকলেন পরিবেশমন্ত্রী
সিএনজির সমস্যা যে আছে তা মেনে নিয়েছেন রাজ্যের নয়া পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।তিনি জানিয়েছেন, 'বেঙ্গল গ্যাস এজেন্সির সঙ্গে এই বিষয়ে একটা চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু একাধিক টেকনিক্যাল কারণে পুরোপুরি সিএনজি সরবরাহ তারা করে উঠতে পারছেন না৷ আমরা এই বিষয়ে কথা বলছি। আশা করছি শীঘ্রই একটা সমাধান সূত্র বেরোবে।'
নেই পর্যাপ্ত সিএনজি ৷ তাই পরিবেশবান্ধব বাস চালাতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা ৷ দিনে যাত্রী নিয়ে চার বার বাস চালাতে চাইলেও, থামতে হচ্ছে দু'টি ট্রিপেই। আর বাকি সময়ে লম্বা লাইন দিতে হচ্ছে সিএনজি জোগাড়ের জন্য, এমনটাই অভিযোগ বাস মালিকদের।
পাশাপাশি তাঁরা এও জানিয়েছেন, বাস চালাতে প্রতিদিন ৩৬ কেজি গ্যাস লাগে অথচ সেই পরিমাণ গ্যাস মিলছে না। ফলে ট্রিপ কমছে ৷ শহর কলকাতা জুড়ে পরিবেশবান্ধব বাস চালাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার৷ দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের উপরে জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী।