এদিন বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারী কর্মীদের জন্য যা করার পুজোর আগেই করবো। আমরা কথা দিলে কথা রাখি।’ এরপরই সব মহলে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জল্পনা শুরু হয়ে যায় ৷
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সহ বেতনও ৷ কেন্দ্রে সপ্তম বেতন কমিশন চালু হয়ে গেলেও রাজ্য এখনও আটকে পঞ্চম বেতন কমিশনে ৷ উপরন্তু এখনও নিষ্পত্তি হয়নি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলারও ৷ বহুদিন ধরেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি ৷ সপ্তম বেতন কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়লেও একই রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৷ সম্প্রতি প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেই রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করেছে বিজেপি ৷ তারপর থেকেই আরও জোরদার হয়েছে এরাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি ৷
advertisement
আরও পড়ুন
কর্ণাটকে সুবিধাবাদী জোট করেছে কংগ্রেস-জেডিএস, কটাক্ষ অমিত শাহের
সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার পর রাজ্য ও কেন্দ্রের কর্মচারীদের ডিএ-এর ফারাক বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮%। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৫ শতাংশ হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণার পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সেই বেতন ফারাক কমে ৩৯ শতাংশে এসে দাঁড়ায় ৷কিন্তু গত ৭ মার্চ আরও দুই শতাংশ হারে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র৷ ফের ফারাক বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ শতাংশে ৷
আরও পড়ুন
ভারতে চড়া হারে শুল্ক, পেট্রোল-ডিজেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন
বাংলায় কর্মচারীদের বেতন পরিকাঠামো পরিমার্জনের জন্য অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করে রাজ্য । ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বরই এই কমিশনের কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু তার আগেই আরও এক বছর বাড়ানো হয় এই কমিটির মেয়াদ ৷ অতএব কবে থেকে রাজ্যে চালু হবে ষষ্ঠ বেতন কমিশন তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা ৷