পার্বত্য অঞ্চলে গোর্খাদের সমস্যা সমাধানের জন্য অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করে স্বরাষ্ট্র দফতর। গত ১৮ অক্টোবর চিঠি দিয়ে তা আপত্তি জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারপরেও দশই নভেম্বর থেকে কীভাবে কাজ শুরু করা হল?
আরও পড়ুন: জামাকাপড় পছন্দ নিয়ে বচসা, রঘুনাথগঞ্জে ধারালো অস্ত্রের কোপ বিক্রেতাকে! ভিডিও ধরা পড়ল সিসিটিভিতে
advertisement
কেন্দ্রের এই আচরণ অগণতান্ত্রিক, আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই। যার কোনও আইন-ই বৈধতা নেই। সংবিধানকে লঙ্ঘন করে কাজ করা হচ্ছে। দার্জিলিংয়ের পার্বত্য অঞ্চল এ রাজ্যের অংশ। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক ২০১১ এই আইন রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয় এবং ১২ই মার্চ ২০১২ সালে তার নির্দেশিকা জারি হয় রাষ্ট্রপতি সম্মতি পাওয়ার পরেই । এই আইন তৈরি করা হয়েছিল দার্জিলিং কালিম্পং কার্শিয়াং মহকুমা এলাকায় যাতে রাজ্যের স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোন আইনি বৈধতা নেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার। রাজ্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এই ধরনের মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা।
চিঠি দেওয়া স্বত্বেও কোনও ব্যাখ্যা বা কোন জাস্টিফিকেশন দিতে পারিনি এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়ে। চিঠি দেওয়া স্বত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ শুধুমাত্র অগনতান্ত্রিক নয় এটা বোঝা যাচ্ছে এটা একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পাহাড়ের শান্তিকে বিঘ্নিত করার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীকে ফের অনুরোধ এই ধরনের নির্দেশিকা যত দ্রুত প্রত্যাহার করা হয় যেটা অগণতান্ত্রিক এবং আইন বিরুদ্ধে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
