এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের পূর্বের রায় খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘রাজ্যের নিয়মেই চাকরি করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা ৷ অস্থায়ী সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও স্থায়ী চাকরি নয় ৷ রাজ্য প্রয়োজনে এমন অস্থায়ী নিয়োগ করতেই পারে ৷’
এই রায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘হাইকোর্টের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ ৷’
এর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৷ সিঙ্গল বেঞ্চে বারিকুল ও সারেঙ্গা থানায় ২০১৩ সালের নিযু্ক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের শুনানির সময় বাঁকুড়ার দুই থানায় সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ার নিয়োগের নথি দেখে শুনানিতেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থায়ী পদে নিয়োগের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
গত বছরের ২০ মে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিক পুলিশের নিয়োগে অনিয়মের কথা মেনে নিয়ে রায় দেন, বারিকুল ও সারেঙ্গা থানায় ২০১৩ সালের নিযু্ক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগপত্র বাতিল করা হবে ৷ এর ফলে চাকরি হারান প্রায় তিনশোর অধিক সিভিক ভলান্টিয়ার ৷
সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়াদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে নতুন কমিটি গঠন, নিয়োগ পদ্ধতির নতুন গাইডলাইন ও তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় সিঙ্গলবেঞ্চ। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে সারেঙ্গা ও বারিকুল থানার চাকরি হারানো ভলান্টিয়াররা ৷ এরপর সিঙ্গলবেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আবেদন করে রাজ্য।
সারেঙ্গা থানায় ১ দিনে ১৩৫১ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হয় ৷ এর মধ্যে নিয়োগ ১২০ জনকে নিয়োগ করা হয় ৷ আর বাড়িকুল থানা ১ দিনে ৮৭৫ জনের ইন্টারভিউয়ের পর ২০০ জনকে নিয়োগ করা হয় ৷ ২০ মে কোর্টের এই রায়ের পর বাতিল হয়ে যায় এই ৩২০ জন সিভিক পুলিশের নিয়োগপত্র ৷ হাইকোর্টের এদিন রায়ের পর স্বস্তি ফিরল রাজ্যে নিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের ৷ নিয়োগ বাতিলের ভয় থেকে মিলল মুক্তি ৷