কী কী সমস্যা রয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের? সংগঠনের নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিভিন্ন দফতরে প্রায় ৩০০০০ শ্রমিক কাজ করেন। বিভিন্ন কর্মীদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে। কোথাও পিএফ, গ্রাচুইটি, ইএসআইয়ের পাওয়ার অধিকার থাকলেও অনেকেই সেটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছুটি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সেরকমভাবেই সমস্যা রয়েছে। এরমধ্যে যারা ১০০ দিনের কাজ করে তাদের অবস্থা আরও খারাপ। যে টাকা এই প্রকল্পে পাওয়া যায় যথেষ্ট নয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নওশাদকে মারা ওই ব্যক্তি পূর্বপরিচিত? যা তথ্য সামনে এল, চমকে উঠল পুলিশও! কে ওই ব্যক্তি?
অন্যদিকে, এই ১০০ দিন কাজ করেই সারাবছর সংসার চালাতে হয় এই শ্রমিকদের। আমাদের দাবি একদিকে অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যা যেমন মেটানো তেমনি ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিক কলকাতা পুরসভা। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তাতে কোন সুরাহা হয়নি বাধ্য হয়েই আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছেন শ্রমিকরা।
সিটু নেতা সৌমজিৎ রজক বলেন, "কলকাতার মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করা থেকে শুরু করে শহরের নিকাশী, সাফাই, জঞ্জাল পরিষ্কার, পৌর স্বাস্থ্য, কর্পোরেশনের স্কুল, এমনকি জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট প্রদান অব্দি সব হচ্ছে অস্থায়ী কর্মীদের ভরসায়। অস্থায়ী শ্রমিক ও ১০০ দিনের কর্মীরা না খেয়ে মরে গেলে পৌরপরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদেরই ন্যায্য দাবিগুলোকে অবহেলা করছে এই পৌরবোর্ড। এটা চলতে থাকলে কিন্তু ঘোর বিপদ আছে সামনে! বাজেট নিয়ে যখন ওঁরা আলোচনা করবেন, তখন এই সহজ কথাটা মনে করিয়ে দিতে যাব আমরা। আবার বলছি, অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবিগুলো কোনো মামুলি ব্যাপার নয়, গুরুত্ব দিয়ে এগুলো বিচার করা প্রয়োজন।"
UJJAL ROY