সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে৷ সেই যুক্তিতেই এদিন সিআইডির পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়নি বলেই সূত্রের খবর৷
আরও পড়ুন: ‘তালপাতার সেপাই’ বলে কটাক্ষ, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ অভিজিতের
এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তর করার জন্য নির্দেশ দেয় সিআইডিকে৷ রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত৷ হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন করে রাজ্য সরকার৷ যদিও শীর্ষ আদালত জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেয়৷
advertisement
এর পরই বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআই-এর দুই আধিকারিক প্রায় ২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নিয়ে শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছন৷ মনে করা হচ্ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হয়তো শাহজাহানকে সিবিআই-এর হেফাজতেই তুলে দেবেন সিআইডি আধিকারিকরা৷ কিন্তু প্রায় দু ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষার পর যখন সিবিআই আধিকারিকরা ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের সঙ্গে শেখ শাহজাহান ছিলেন না৷ শাহজাহানকে না নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা চারটি গাড়ি৷
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার শাহজাহানের হস্তান্তর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে, এই যুক্তি দেখিয়েই শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে দিতে চায়নি সিআইডি৷ রাজ্য পুলিশের এই অবস্থানের পর এবার সিবিআই ফের বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার৷