সিআইডি সূত্রে খবর, জেরা করে জানা গিয়েছে, পশ্চিম দিনাজপুরের জেলাশাসকের জাল স্ট্যাম্প-সহ একাধিক এসপি ও জেলাশাসকদের জাল স্ট্যাম্প বানানো হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীর দোকান থেকে। শনিবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে, প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ভবানী ভবন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রশান্তকে। ব্যবসায়ীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারীরা । সিআইডি সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর গোপন জবানবন্দী নেওয়া হবে । তদন্তের প্রয়োজনে আবারও ডাকা হতে পারে ব্যবসায়ী প্রশান্ত দে-কে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রার্থী প্রিয়জন, ওয়াররুমে আপনজন! কলকাতার ভোট-বাজারে নেতাদের চালিকাশক্তিরাও
সিআইডি-এর গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এর পিছনে বড় কোনও মাথা আছে। সফিক মোল্লা কার নির্দেশে সরকারি স্ট্যাম্প জাল করে জাল লাইসেন্স বানাতেন. তা নিয়েও রয়েছে রহস্য। তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, এর পিছনে বিশাল চক্র কাজ করছে। জেলাশাসক, এসপিদের স্ট্যাম্প ও সই জাল করে ভুয়ো লাইসেন্স তৈরি করে আগ্নেয়অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে ধৃত সফিক মোল্লার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার মডেল গোয়াতেও! পাঁচশোর বদলে মাসে পাঁচ হাজার, প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের
এর আগে শহরে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের কোম্পানিতে অস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্স তৈরি করা ও ব্যবহার করার অভিযোগে সিআইডি-এর হাতে গ্রেফতার হন ছ'জন । গ্রেফতার করেন সিআইডির এসওজির আধিকারিকরা। শহরে রমরমিয়ে গজিয়ে উঠছে এই সব বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের অফিস। ভুয়ো লাইসেন্স থাকলেই অর্ধেক বেতনে নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ চলে বলে দাবি সিআইডির। কিন্তু যাঁদের আসল লাইসেন্স আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বেতন বেশি দিতে হয়।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধৃত সফিক মোল্লা, মেমারির বাসিন্দা। অভিযোগ অস্ত্র ব্যবহারের জন্য ভুয়ো লাইসেন্স তৈরি করতেন সফিক। এই ভুয়ো লাইসেন্স ব্যবহার করে যাঁরা নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন, তাঁদেরকেও গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতদের নাম, জুলফিকার শেখ, সাবির মণ্ডল, ইমানুল মণ্ডল, হাফিজুল শেখ, বিমান মণ্ডল। ধৃতদের জেরা করে এই বিরাট চক্রে আর কারা জড়িত, তার খোঁজ করছে সিআইডি। একাধিক জায়গাতে চলছে তল্লাশি।
ARPITA HAZRA
