TRENDING:

কলকাতার বাতাসে বিষ, ঝাঁঝরা হচ্ছে আপনার শিশুর ফুসফুস, কী বলছেন চিকিৎসকেরা ?

Last Updated:

ফুসফুসের সঠিক পরিণতির অভাবে হাঁপানি, সিওপিডি,শ্বাসকষ্ট এমনকী ফুসফুসের ক্যানসারেও আক্রান্ত হচ্ছে আপনার ফুটফুটে সন্তান

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
অভিজিৎ চন্দ
advertisement

#কলকাতা: মারাত্মক দূষণ কেড়ে নিচ্ছে শৈশবের মুক্ত হাওয়া। ফুসফুসের সঠিক পরিণতির অভাবে হাঁপানি,  সিওপিডি,শ্বাসকষ্ট এমনকী ফুসফুসের ক্যানসারেও আক্রান্ত হচ্ছে আপনার ফুটফুটে সন্তান।

দুর্গাপুজোর পর থেকেই কলকাতায় দূষণের মাত্রা প্রচুর বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বাতাসের মানের সূচক ৫০ হওয়া উচিত,সেখানে পুজোর পর কলকাতায় তা ১০০-র উপর আর কালী পুজোর পর তা আড়াইশো ছাড়িয়ে গিয়েছে।

advertisement

অক্টোবর মাস থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমে শিশুদের ভিড়। ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ও শিশু চিকিৎসকদের দাবি, অত্যধিক বায়ু দূষণের জেরে শিশুদের ফুসফুস সঠিকভাবে পরিণত হচ্ছে না ! ফলে হাঁপানি,শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, সিওপিডির প্রবণতা বাড়বে।

বায়ুদূষণ,প্যাসিভ স্মোকিং, মশার ধূপ (লিকুইড বা গ্যাস) ,ধূপকাঠির ধোঁয়া থেকেও চূড়ান্ত দূষণ হচ্ছে । ফর্টিস হাসপাতালের বিশিষ্ট ফুসফুস বিশেষজ্ঞ রাজা ধর জানিয়েছেন, '' এ'বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালগুলিতে শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে শিশুদের ভর্তি দশগুণ বেড়েছে। গরমের সময় থেকে এই সময় শিশুদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।''

advertisement

গত তিন বছরে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে  ডিজেল  গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ৬৮ শতাংশ । মেট্রোর নির্মাণকার্য সহ অন্যান্য নির্মাণ কাজের জন্য বায়ু দূষণ অসম্ভব মাত্রায় বেড়েছে,ফলে শিশুদের ওপর দূষণের প্রভাব মারাত্মক মাত্রায় পড়েছে।

ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এর শিশু বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরি জানিয়েছেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে।এর ফলে অনেক আগে থেকেই এবার শিশুরা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ইউটিউব দেখেই কামাল করছে এই কিশোর, দেখলে আপনিও চোখ সরাতে পারবেন না
আরও দেখুন

তবে আতঙ্ক নয় সচেতনতা দরকার এমনটাই জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। ডিজেল গাড়ি কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের যেমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত তেমনি সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো উচিত।  দূষিত এলাকায় N90 বা N99 মাস্ক পরা, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার, ঘরের ভিতরে গাছ লাগানো সহ কারপুলিং-এর পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে । সূর্য ডোবার আগে বা সূর্য ডোবার পরে হাঁটা উচিত নয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কলকাতার বাতাসে বিষ, ঝাঁঝরা হচ্ছে আপনার শিশুর ফুসফুস, কী বলছেন চিকিৎসকেরা ?