রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে এ বার নেওয়া হল সেই উদ্যোগ। সোমবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য যশোবন্তী শ্রীমানি পরিদর্শন শুরু করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে । অ্যাডিনো ভাইরাসের চিকিৎসা চলা হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি ঠিক কী রকম , তা জানতে চলছে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে আজ প্রথম পরিদর্শন করা হয় ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। বিসি রায় হাসপাতালের পাশাপাশি, সেখান থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী অবস্থা অনুব্রত মণ্ডলের! হাসপাতালে নিয়ে যেতেই জানা গেল মারাত্মক তথ্য, এতটা কমলো!
এই কমিশনের তরফ থেকে হাসপাতালের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কত সংখ্যক শিশু ভর্তি রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলেই মনে হয়েছে বলে জানান কমিশনের সদস্য যশবন্তী শ্রীমানি। হাসপাতালের তরফে রোগীর বিভিন্ন স্টেজ ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এ ছাড়াও কমিশনের তরফে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য কী কী করণীয় তা সম্পর্কেও হাসপাতালকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কমিশন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে বাড়ির বড়দের কারওর ঠাণ্ডা জ্বর সর্দি-কাশি থাকলে বাড়ির শিশুকে তার থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শরীর খারাপ থাকলে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে হবে সাময়িকভাবে।
গত শুক্রবার, পাক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও পরিদর্শনে যায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দল। কমিশনের তরফে গোটা রাজ্যের কী পরিস্থিতি তা জানতে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালগুলির কাছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলে তবেই মানুষকে সচেতন করতে পারবে কমিশন এমনটাই জানান কমিশনের সদস্য যশোবন্তী শ্রীমানি।
