আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হতে পারেন আইনজীবীরা, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বিতর্কে তুঙ্গে বিতর্ক
রাজ্য সরকার এই ধরনের শিল্পের বিকাশে ব্যাঙ্কের ঋণের সুদের উপর ৩ শতাংশ অনুদান দিয়ে থাকে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের সাত জেলায় কৃষি ভিত্তিক অনুসারি শিল্প বিকাশে ৪০ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন। সূত্রের খবর, বহু ক্ষেত্রে ঋণ না পাওয়ার যৌক্তিকতা হিসাবে ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, কারও জমির কাগজ যথাযথ নেই, কারও ফায়ার লাইসেন্স নেই।
advertisement
মুখ্যসচিব বলেন, "জেলাশাসকদের এটা দেখতে হবে,ত্রুটি সংশোধন করে নতুন করে আবেদন করে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে ঋণের ব্যবস্থা করুন। তাঁরা যাতে কাজ শুরু করতে পারেন। এই মুহূর্তে ৪১১টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সব কিছু ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন না অনেকে। ফেলে রাখা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদে মাত্র ১৬ শতাংশ আবেদন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছে।"
আরও পড়ুন: রাতের গার্লস হস্টেলের বাথরুমে উঁকি মারছে কে? মারাত্মক ঘটনা কল্যাণীতে! ভোর হতেই বাইরে ছাত্রীরা
একই সঙ্গে জেলাশাসকদের আগামী ছয় মাসের মধ্যে কৃষি অনুসারি শিল্প বিকাশে ক্লাস্টার তৈরির জমি চিহ্নিত করে মাইক্রো লেভেলে পরিকল্পনা পেশ করতেও বলেন মুখ্যসচিব। কৃষি বিপণন দফতরের নিজস্ব আউটলেট 'সুফল বাংলা'কে আরও কার্যকরী করারও নির্দেশ দেন তিনি। কারণ, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি সহ বহু জায়গায় এই সরকারি বিপণীর কোনও কেন্দ্র এখনও চালু হয়নি। এর প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ডিং নিয়েও ভাবনা চিন্তা করার ভাবনা।
এদিনের বৈঠকে কৃষি, পঞ্চায়েত, মৎস্য, উদ্যান পালন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, ও জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের আধিকারিক ও জেলাশাসকেরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কৃষি ভিত্তিক অনুসারি শিল্প বিকাশে মাটি সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে তেল কল, ডাল মিল, হিম ঘর, গুদাম, রাইস মিল, ফ্রুট রাইপিং সেন্টার, কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়ার কেন্দ্র, প্রাইমারি প্রসেসিং সেন্টার গড়ে তুলতে চায় রাজ্য। প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রামীণ কর্মসংস্থান।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়