ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশের সংশোধন করে রাজ্যজুড়ে বিডিও, এসডিও, প্রত্যেকটি থানার আইসি-ওসিদের, প্রত্যেক বিএলআরওদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন নবান্ন। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসকের দফতর থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
প্রথম পর্যায়ে জেলার এই পদাধিকারীদের ডাকা না হলেও বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগে তাদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে নবান্নের অন্দরেই। আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে বারবার রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। মনে করা হচ্ছে বুধবারের বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলার ব্লক স্তরের আধিকারিকদেরও নির্দিষ্ট বার্তা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৪-এর আগে পঞ্চায়েতে গ্রামের মন জয় করতে জোন ভাগ করে প্রচার, কোমর বাঁধছে বিজেপি
পুজোর পরেই রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দুয়ারে সরকার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে তার আগে নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বুধবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
পাশাপাশি রাজ্যে একাধিক সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্প পরিচালিত হয়। সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পগুলি নিয়েও নির্দিষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন। তারই সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের কাজকর্ম নিচুতলা পর্যন্ত কতটা পৌঁছচ্ছে, সে বিষয়েও সরজমিনে রিভিউ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে এই বিষয় নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী ব্লক লেবেল পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি রিভিউ করবেন।
কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিকল্প কী উপায়ে এই ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পগুলি কাজ চালু রাখা যেতে পারে সে বিষয়েও বারবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে বুধবারের বৈঠকে এইসব বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এবদিনের বৈঠকে একই ছাতার তলায় বিভিন্ন দফতরের সচিব, জেলা গুলির জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বিডিও, এসডিও দের উপস্থিতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।