সূত্রের খবর রবিবার অর্থাৎ আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ চেতলা অগ্রণী থেকেই ভার্চুয়ালে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২৫০ টিরও বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে তার প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়েছে। পুজোগুলি উদ্বোধনের সময় বিভিন্ন মণ্ডপে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।
আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পে আসা মানুষদের উপদেশ, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদে তৃণমূল
advertisement
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনের সময় যাতে পুজো উদ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি এবং জেলার প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি উদ্বোধনের সময় প্রত্যেকটি মণ্ডপে যাতে ঢাকি-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় তার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
জেলাগুলিকে তার জন্য শুক্রবারের মধ্যেই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার আধিকারিকরা সেই তালিকা নবান্নে জমা দিয়েছে। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই কলকাতায় তিনটি পুজো মন্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: গঙ্গা দূষণ ঠেকাতে দুর্গাপুজোয় কলকাতার এক বনেদি বাড়ির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
রবিবার, মহালয়ার দিন চেতলা অগ্রণী থেকে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেও সোমবার থেকে কলকাতার একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্ন সূত্রে খবর চতুর্থী পর্যন্তই তিনি শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করবেন। প্রসঙ্গত গত ১ সেপ্টেম্বর জোড়াসাঁকো থেকে রেডরোড পর্যন্ত বাংলার দুর্গাপূজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির ধন্যবাদ জানিয়ে শোভাযাত্রা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এবারে বিশেষভাবে রেড রোডে কার্নিভাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। জেলাগুলিতেও কার্নিভাল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করার কথা ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। গত বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁরা সে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে পুজো নিয়ে রিভিউ বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকটি ক্লাবকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে এই অনুদান দেওয়ার কথা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গেছে।