তবে শুধু রবীন্দ্র সরোবরই নয়, সুভাষ সরোবরেও দেখা গেল একই ছবি। পুলিশের তরফে বাঁশ ও গার্ভ রেল দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা সরোবর যাতায়াতের পথ। আদালতের রায়ের পরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। সুভাষ সরোবর চত্বরে বুধবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সুভাষ সরোবরের মূল গেট ও আশেপাশের এলাকায় লাগানো হয়েছে কেএমডিএ-র নোটিশ। যেখানে উল্লেখ রয়েছে আদালতের নির্দেশে সুভাষ সরোবরে ছট পুজোর (Chhath Puja 2021) আয়োজন করা যাবে না। বিকল্প বেশ কয়েকটি ঘাটের উল্লেখ করা হয়েছে ওই নোটিসে।
advertisement
আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী বিসর্জনে সাংয়ের দাবিতে মরিয়া, প্রাচীন ঐতিহ্যের সওয়ালে রাজপথে কৃষ্ণনগরবাসী
আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজোয় রাতে ঠাকুর দেখায় ছাড়, চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর উপহার
পুরনো অভিজ্ঞতা থেকেই এবার আরও সজাগ হয়েছে প্রশাসন। আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই সেবার রবীন্দ্র সরোবরের গেটের তালা ভেঙে ঢুকে পড়েছিল একদল যুবক। তারপরেই চলে সেখানে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ছটপুজো। সেবারও জল দূষণ রোধে ছট পুজো বন্ধ করার জন্য রবীন্দ্র সরোবরের চার পাশ ঘিরে ফেলা হয়েছিল কলকাতা পুরসভার পোস্টার, ব্যানারে। সেই সব পোস্টার, ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক কারণেই প্রশাসন পুণ্যার্থীদের আটকায়নি৷ এমনই অভিযোগ ছিল পরিবেশকর্মীদেরও৷ তাই এবার আগে ভাগেই সজাগ পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ছট পুজোর (Chhath Puja 2021) সময় বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সরোবরে সবার প্রবেশ নিষেধ। বিকল্প কোন কোন ঘাটে পুজো করা যাবে, তার যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতেই শুধুমাত্র ছট পুজোর আয়োজন করা যাবে'।
VENKATESWAR LAHIRI