সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংবর্ধনায় আপ্লুত চে কন্যা বক্তব্যও রাখেন এই মঞ্চ থেকে।
কলকাতা শহরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে শুক্রবার শহরে এসেছেন আলেইদা গুয়েভারা। কলকাতা বিমানবন্দরে এ দিন সকালে তাঁকে স্বাগত জানান বাম সমর্থকরা। আজ এবং আগামিকাল কলকাতায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। চন্দননগরেও যেতে পারেন অ্যালেইদা গুয়েভারা। সঙ্গে থাকছেন অ্যালেইদার কন্যা এস্তেফানিয়া মার্টিন।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতিতে 'উলটপুরাণ', নড্ডার মুখে মমতার 'শ্লোগান', সরগরম রাজ্য রাজনীতি
ভারতে এসে গত সপ্তাহে কোচিতে সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সর্বভারতীয় সম্মেলনে বৃন্দা কারাতের ডাকে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে চেন্নাই হয়ে শহরে এলেন মার্ক্সিস্ট বিপ্লবীর কন্যা অ্যালেইদা। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই অ্যালেইদা গুয়েভারাকে সম্মান জানানোর প্রস্তুতি চলছিল বামপন্থী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর আপ্লুত হয়ে পড়েন চে কন্যা। স্প্যানিশ ভাষাতে বক্তব্যও রাখেন মঞ্চ থেকে। চে- র আদর্শে সর্বোপরি মানুষকে ভালোবাসার বার্তা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএ চেয়ে বিপদে প্রধান শিক্ষক! তৃণমূল নেতার নির্দেশের পরই শো কজ
যদিও এইবারই প্রথম কলকাতা সফর নয় চে- কন্যার। আমেরিকার গুয়ানতানামো বে’র জেলে বন্দি কিউবার পাঁচ বিপ্লবীর মুক্তির দাবি নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রচারের সময়ে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার কলকাতায় এসেছিলেন অ্যালেইদা। তিন দিনের সেই সফরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল চে-কন্যাকে। লঞ্চে চেপে গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ করে কলকাতা চিনেছিলেন তিনি।
তবে শুধু অ্যালেইদা নন। তারও আগে ১৯৫৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন চে। তার প্রায় ৬৪ বছর পর ফের একবার এই শহরে পা রাখলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা। অ্যালেইদার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা। কোচিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। এ দিন বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক সভায় যোগ দেন তিনি।